মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলায় কু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক নারী গার্মেন্ট কর্মীকে মারধর ও শ্লীলতা হানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ১৪ আগষ্ট রাত নাড়ে আটটায় জুঁইদন্ডী ২ নং ওয়ার্ডে এ ঘটানা ঘটে। এ ঘটানায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জুঁইদন্ডী এলাকার খাদিজা বেগম (১৭) কেইপিজেডে চাকরি করেন। একই এলকার মো. টিপু (২২) খাদিজা বেগমসহ আরো বেশ কয়েকজন গার্মেন্ট কর্মীকে জীপ গাড়ীতে করে কারখানায় আনানেয়া করতেন। জীপ চালক টিপু বিভিন্ন সময় খাদিজা বেগমকে তার সাথে বেড়াতে যেতে এবং ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেন। তার এসব প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ১৪ আগষ্ট রাত সাড়ে আটটায় কারখানা থেকে ফেরার পথে খাদজা বেগমকে গাড়ী থেকে টেনে নামিয়ে এলাপাথারি চর-থাপ্পর মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে পাশের সিরাজের ভাড়া বাসায় নিয়ে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এসয় খাদজা বেগমের শোর চিতকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জীপ চালক টিপু তারে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আনোয়ারা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে খাদিজা বেগমকে তার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। পরদিন খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় টিপুকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে টিপু এবং টিপুর পরিবার পলাতক রয়েছে। বাড়ীতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে টিপুর স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন গাড়ীতে করে খাদিজাকে আনানেয়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পতি খাদিজা তাকে বাদ দিয়ে অন্য আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক করলে জীপ চালক টিপু ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
খাদেজার পিতা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার মেয়েকে সবসময় কুপ্রস্তাব দিত টিপু। তাতে রাজী না হওয়ায় গতকাল রাতে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি প্রশাসনের নিকট এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, শুনেছি তারা উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি ভয়ে ঐ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্বার করে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেন।