ইবি করেসপন্ডেন্ট
ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেল ৪টায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার (৭ জুন) আনুমানিক সকাল ৬টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিনের মতো সকালে হাঁটছিলেন। এসময় মোস্তাফিজুর রহমানকে একা পেয়ে হাউজিং ডি ব্লকের ১৬৭নং বাসার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ (ব্যাংক কর্মকর্তা) অতর্কিত তার উপর হামলা করে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী শান্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী। তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা হামলাকারীর বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
একইসঙ্গে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এসময়ের মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, হামলাকারীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে ব্যাংক থেকে অব্যাহতি, হামলাকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখা বন্ধ রাখা।
পরে দুপুর ২টার দিকে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার ম্যানেজার হাসিবুর রহমানকে মাধ্যম করে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে স্নারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘গত ৭ জুন অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান স্যারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ন্যক্কারজনক হামলার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, শুনেছি সোহেল অনেকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, এমনকি বিভিন্ন সময় মারধরও করেছে। ব্যাংকের স্টাফদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়। তার এমন আচরণে আমরা ব্যাংক কর্মকর্তারাও মর্মাহত। ব্যাংকের মত আস্থাসম্পন্ন জায়গায় চাকরি করে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমরাও চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে করে কেউ যেন আর এমন কাজ করার সাহস না পায়।
সারাবাংলা/এনএস