আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে ইয়েমেনের প্রায় ১৩টি স্থানে কমপক্ষে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশ মিলে ইয়েমেনে সম্মিলিত বিমান ও নৌ হামলা চালিয়েছে।
যৌথ অভিযানে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় টমাহক মিসাইল। বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার থেকে উড্ডয়ন করে এফ/এ ১৮ ফাইটার বোম্বার।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একাধিক ভূগর্ভস্থ গোদাম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, মিসাইল সিস্টেম, ড্রোন সিস্টেমের গোদাম, অপারেশন সাইট, রাডার এবং হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ডের দাবি, এই হামলাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের জাহাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের বেপরোয়া এবং বেআইনি আক্রমণ থামানোর জন্য করা হয়েছে।
শনিবার সকালেই ইয়েমেনের ছয়টি স্থানে হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, ওই স্থানগুলো থেকে হুথিদের ক্রুজ মিসাইল লোহিত সাগরে নিক্ষেপ করার প্রস্তুতি চলছিল।
এদিকে শনিবার যৌথ হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুথিরা বলেছে, যুদ্ধবৃদ্ধির জবাব দেওয়া হবে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে। হুথি বিদ্রোহীদের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-বুখাইতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে বলেন, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদিবাদী সত্তার বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে আমাদের যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় আমরা করব।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের পর ওই মাসে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল আটকে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তারা একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায়। এতে বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম প্রধান এই রুটটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। লোহিত সাগর নিরাপদ রাখতে ইয়েমেনে হুথিদের আক্রমণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
সারাবাংলা/আইই