এঈ মুহর্তে আমাদের দেশে নারী তথা নারী উদ্যোক্তা ও নারী পেশাজীবিরা পুরষদের মতো নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ পান না। এটা সমাজের সমস্যা হোক, দেশের সমস্যা হোক- এটা একটা সমস্যা। নারীরা এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করেন যেটা একই সমাজের একজন পুরুষকে মোকাবেলা করতে হয়না।
আজকে আমি বলবো আমার গল্প। সবসময় ব্যবসা করার প্রতি এক ধরনের ঝোঁক কাজ করত। পড়ালেখা করেছি মার্কেটিং থেকে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস থেকে যখন এমবিএ করি তখন মনে হলো ব্যবসা টা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে করলে কেমন হয়, আমি জানতাম এতে অনেক ঝুঁকি ও ছিল, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে তো ব্যবসা হবে না। আমার এই যাত্রায় আমার একমাত্র অবলম্বন ছিল আমার আম্মু,যিনি আমাকে সবসময় সাহস জুগিয়েছে।
তারপর আল্লাহ তাআলা নাম নিয়ে শুরু করলাম স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়ে যাত্রা। যেহেতু আমাদের স্কিন অনেক সেনসিটিভ একটি অংশ অনেক রিসার্চ করে প্রোডাক্ট সাজেস্ট করি। মানুষ এতো সহজে আমাকে আপন করে নিবে কখনো ভাবিনি। আমার প্রথম প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করলাম USA, UK থেকে। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি।
তবে পিছনে থেকে টেনে নিচে নামানোর মত মানুষ এর ও অভাব ছিল না। যাইহোক তাদেরকে ও অনেক ধন্যবাদ।
আমি মনে করি অনলাইন বিজনেস করতে হলে অনেক পড়াশোনা ও দরকার, অনেক কিছু জানতে পারবেন বিভিন্ন উদ্যোক্তা কোর্স করে যা আমি নিজে করেছি।
শুরুতে এমনও অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেকে ব্যবসাটি ঘরকেন্দ্রিক ভেবে তেমন খরচের ব্যাপার নেই বলে ন্যায্য স্বীকৃতিটিও দেয়নি। কিন্তু বিশ্বাস করি যেকোনো সনাতনী পেশাজীবীর চেয়ে একজন উদ্যোক্তাকে তাঁর ব্যবসায় ভাবনা, শ্রম ও সময় কোনো অংশেই কম দিতে হয় না। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমার পরামর্শ- স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থকতাটাই আলাদা। তাই বলবো, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হলে আপনাকে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, তবে ইচ্ছা থাকলে তা ওভারকাম করা সম্ভব।