আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এশিয়ার বেশকিছু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মুদ্রাস্ফীতি রোধে সুদের হার বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সারাবিশ্বের ন্যায় এশিয়ার দেশগুলোতেও মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলছে। খবর আলজাজিরা।
আইএমএফ’র এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) একটি ব্লগে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতির ‘উর্ধ্বমুখী প্রবণতা’ রোধ করতে এশিয়ার কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দ্রুত সুদের হার বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদিও এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। তবুও পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি যেন আরও বাড়তে না পারে সেজন্য বেশ কয়েকটি দেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
শ্রীনিবাসন আরও বলেন, ‘একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বেড়ে গেলে তা ভোক্তা, কোম্পানি এবং সরকারগুলোর জন্য বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। দেশগুলো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিকালে যথেষ্ট ঋণ নিয়েছিল।’ তবে কোন দেশ দ্রুতই তাদের সুদের হার বাড়াবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশভেদে তাদের নীতির সুপারিশ ভিন্ন হবে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে হস্তক্ষেপ, অর্থনৈতিক নীতি (ম্যাক্রোপ্রুডেন্সিয়াল পলিসি) এবং মুদ্রা সরবহার ব্যবস্থা (ক্যাপিটাল-ফ্লো ম্যানেজমেন্ট) মতো পদ্ধতিগুলো এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।’
আইএমএফ’র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে দেশগুলোর জন্য খুব বেশি দেরি করা ঠিক হবে। দ্রুতই যেখানে প্রয়োজন নীতির সংস্কার করতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে উদীয়মান বেশিরভাগ দেশই তাদের মূলধন বিদেশে চলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ভারতের ২৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে গেছে বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন।
দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড এবং ফিলিপাইন গত মাসেদাতের আর্থিক নীতি কঠোর করেছে। জনগণের জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় কমাতে দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সুদের হার বাড়ায়।
সারাবাংলা/এনএস