কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, “একটি দেশের আর্থ—সামাজিক উন্নয়ন সেদেশের জনসংখ্যার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। কোনো দেশের পরিকল্পিত জনসংখ্যাকে যদি দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা যায়, তাহলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে সহায়ক হয়। জনসংখ্যাকে একটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে যেতে বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ নিয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। টেকসই উন্নয়ন তথা আত্মমর্যাদাশীল উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পরিকল্পিত জনসংখ্যার বিকল্প নেই।”
শনিবার (০৫) আগস্ট অরুণোদয় স্কুলের হলরুমে জনসংখ্যা, সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত অগ্রগতি ও মাঠ বাস্তবতা বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, শুধু মাত্র প্রকল্প নিলে হবে না, আমাদের পৌঁছতে হবে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায়। এ জন্য প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে অগ্রগতি। আর তদারকি না হলে অগ্রগতিও সম্ভব না। কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন নয়। নানা অবকাঠামো, আইন, সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে হবে।”
পিপিআরসি, ইউএনএফপিএ ও ইপসা যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে জনসংখ্যা ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন ইউএনএফপিএ এর কক্সবাজার সাব অফিস প্রধান রুসেলিদাহ রাফায়েল, পিপিআরসির প্রোগ্রাম এডভাইজর মো. আবদুল ওয়াজেদ ইপসার সহকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম ও ইউএনএফপিএ’র টেকনিক্যাল অফিসার খন্দকার জহির রহমান। পরে স্টেকহোল্ডারদের উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে সমাজের নানা চিত্র। উত্থাপিত সংকট ও সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন আয়োজকেরা।
