কনটেন্ট ইজ দি কিং অব মার্কেটিং। কিন্তু এ কনটেন্ট লেখাটাই বেশিরভাগের কাছে কঠিন ব্যাপার। অনেকে হয়ত চেষ্টাও করেন, কিন্তু পাঠককে সেই লেখা আকর্ষন করতে পারেনা। পাঠককে আকর্ষন করতে না পারলে সেই কনটেন্ট কিং হিসেবে ভুমিকা রাখতে পারবেনা। কিং হিসেবে ভুমিকা রাখতে পারবে, এরকম কনটেন্ট লিখার কিছু টেকনিক নিচের পোস্টে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
কনটেন্ট কি?
আর্টিকেল, ছোট পোস্ট, ভিডিও, লাইভ ভিডিও, ইমেজ, ইনফোগ্রাফিকস, অডিও সাউন্ড সব কিছুই আর্টিকেল। এমনকি আমরা যেকোন কিছু ব্রান্ডিং করার পরিকল্পনা করলে সব ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করি।
একটা ভালো আর্টিকেল লিখতে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়?
৩টি বিষয়।
– টপিকস নির্ধারণ
– আর্টিকেল লিখা
– প্রেজেন্টেশন
টপিকস নির্ধারণ: একটা আর্টিকেল মানুষ কতটুকু পছন্দ করবে, সেটার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টপিকস নির্ধারণ। এই টপিকস ঠিক করতে আপনারা নিজের মাথার উপর অত্যাধিক প্রেসার দেন। কিন্তু বিশ্বের ভাল কোন রাইটার নিজের মাথা থেকে টপিকস নির্ধারণ করেনা। অনেকগুলো উপায় আছে। তার মধ্যে আপনাদের জন্য অনুকরনীয় দুটি উপায় হচ্ছে:
– যে বিষয়ে লিখছেন, সেই রিলেটেড ভালো কোন গ্রপের আলোচনা এবং কমেন্টস থেকে ভালো টপিকস আইডিয়া পাবেন।
– যে বিষয়ে লিখবেন, সেই বিষয়ে কোন ইনফ্লয়েন্সার অবশ্যই কোন কনটেন্ট (ভিডিও কিংবা আর্টিকেল) বানিয়েছে, সেই টপিকস নিয়ে আপনি আপনার মত করে কনটেন্ট বানাবেন।
ধরেন, আয়মান সাদিক কাল একটা টপিকসে ভিডিওতে চমৎকার কথা বলছে, আপনার কাছে ভালো লাগছে। সেই টপিকসে আপনার মত আপনি একটা লিখা লিখে ফেলেন। আয়মান যা বলছে, সেখান থেকে আইডিয়া নেন।
– সমসাময়িক কোন সমস্যা নিয়ে কোন মতামত কিংবা ভিডিও শেয়ার করেছে, সেটা আপনার মত করে সাজিয়ে নতুন প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপন করেন।
আর্টিকেল লিখা:
মৌলিক, তথ্যবহুল লিখাই মানুষকে বেশি আকর্ষন করে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমি ২০০৩ সাল থেকে কাজ করছি, পড়াশোনা করছি, তাই এ সেক্টরের লেখাগুলো লিখতে হয়তো অভিজ্ঞতা থেকে লিখে ফেলতে পারছি। কিন্তু যখন অন্য কোন বিষয়ের মার্কেটিং করতে গিয়ে কনটেন্ট রেডি করতে হয়, তখন সেই বিষয়ে লেখতে গেলে ব্রেইন থেকে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যায়না। তাই তখন বিভিন্ন কনটেন্ট গুগল সার্চ করে, কিংবা ফেসবুকে সেই রিলেটেড গ্রপগুলো যুক্ত থাকলে অনেক ভালো কনটেন্ট পাই। সেই কনটেন্টের মুল বিষয় পড়ে বুঝে নেই, তারপর নিজের মত করে কনটেন্টটাকে আবার নতুনভাবে উপস্থাপন করি।
আর্টিকেল লেখার সময় মানুষ শেষ পযন্ত যাতে লেখাটা পড়ে, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই লেখাতে প্যারা ব্যবহার করি, পয়েন্ট পয়েন্ট করে লিখি। পয়েন্ট থাকলে সেই পয়েন্টটা মানুষের চোখ আটকিয়ে দেয়। তখন মানুষ পড়তে চায়।
প্রেজেন্টেশন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। এবং খুব ভালোভাবে বিষয়টা মাথাতে রাখার চেষ্টা করেন।
প্রেজেন্টেশনটা দুটি কারনে গুরুত্বপূর্ণ:
– মানুষ ফেসবুকে সারাদিন শুধু স্ক্রল করে। সেই স্ক্রল আপনার লেখাতে এসে যাতে থেমে যায় সেটা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে।
– লেখাটা পড়া শুরু করে শেষ না করে যাতে কেউ পড়াটার থেকে সরে না যায়, সেটার জন্য প্রেজেন্টশনের সময় আলাদা কিছু পরিকল্পনা রাখতে হয়।
স্ক্রল থামিয়ে লিখাতে যাতে চোখ আটকে যায়, সেটার জন্য দুটি কাজ করতে হয়।
– ইমেজে আকর্ষণীয় কোন মেসেজ, কিংবা আকর্ষনীয় ইমেজ ব্যবহার।
– যেকোন পোস্টের ১ম ২ লাইন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, যে ২ লাইনের লিখা পড়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়, লেখাটাতে থেমে পড়বে কিনা।
স্ক্রল থামিয়ে আপনার লেখাতে ক্লিক করে ওপেন করার জন্য টিপস দিলাম। এবারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষ যাতে পুরো লিখাটা পড়ে। কিংবা ৪০% পড়লেও সেটাকে ফেসবুক ভালো কনটেন্ট হিসেবে কাউন্ট করে।
পুরো লিখাটা শেষ করার পযন্ত পাঠককে ধরে রাখতে পয়েন্ট ব্যবহার করি, প্যারা ব্যবহার করি বলেছি। তাছাড়াও লিখার মধ্যে বোল্ড করা, কোটেশন মার্ক ব্যবহার করি, পয়েন্ট সাইন ব্যবহার করি। আর লেখার মধ্যে বিভিন্ন লাইনে কিছু মজা করার চেষ্টা করি, কিংবা কিছু টুইস্ট ব্যবহার করি।
এইতো, এটাই হচ্ছে আর্টিকেল লেখার টিপস। এবার চেষ্টা করেন। এবার এগুলো মাথাতে রেখে নিজেরাও লিখার চেষ্টা করেন, অনেক অনেক প্রাকটিস করলে আপনারাও অবশ্যেই ভাল কনটেন্ট লিখতে পারবেন।