স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চীন থেকে সার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসা জাহাজের সাত নাবিকের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ওই জাহাজ থেকে তাদেরসহ মোট ২১ নাবিককে নামিয়ে পুরো জাহাজ পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন করে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া জাহাজ থেকে আপাতত পণ্য খালাস বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার (২২ আগস্ট) রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানায় দায়িত্বরত সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল আবছার। তবে সাতজনের কারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
নুরুল আবছার সারাবাংলাকে বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার পর আমরা আবারও জাহাজে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। তারা মোটামুটি সুস্থ আছেন। শিপিং এজেন্টকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সাতজনকে যেন জাহাজ থেকে নামিয়ে সরকার নির্ধারিত
কোনো আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে যেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাহাজের বাকি ১৪ জন নাবিককেও নামিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারাও শিপিং এজেন্টের তত্ত্বাবধানে কোয়ারেনটাইনে থাকবেন।’
‘পুরো জাহাজ স্যানিটাইজ হওয়ার পর এবং কোয়ারেনটাইনের সময় শেষ হওয়ার পর ১৪ জন আবার জাহাজে উঠবেন। বাকি সাতজন করোনামুক্ত হলেও আর জাহাজে উঠতে পারবেন না। তাদের বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হবে।’
নুরুল আবছার আরও জানান, জাহজটি চীনের বন্দর থেকে এলেও সেটি চীনের পতাকাবাহী নয়। জাহাজের নাবিকরাও কেউ চীনের নাগরিক নন। সেখানে ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশের নাবিক আছেন। এমভি সেরিন জুনিপার নামে জাহাজটি ৪৬ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন ডিএপি সার নিয়ে চীনের বন্দর থেকে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের বহির্নোঙরের আলফা অ্যাংকরেজ এলাকায় আছে। জাহাজের সাত নাবিক জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা রোববার তাদের নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজ থেকে পণ্য খালাস আপাতত বন্ধ থাকবে। নাবিকদের কোয়ারেনটাইন পিরিয়ড শেষ হলে পণ্য খালাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর আক্রান্তদের বিষয়ে শিপিং এজেন্টকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনএস