চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা খানা এলাকা থেকে ভারতীয় সাড়ে ২৩ কেজি রুপার গহনাসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত চোরাকারবারীরা হলো, দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামের-মৃত হায়দোর আলীর ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮), তার স্ত্রী মোছাঃ রিমা খাতুন (২৭) ও তার মা মোছাঃ আরবী খাতুন (৫৫)। এদিকে একই গ্রামের অপর দুই চোরাকারবারী শিমুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়া (৩০) এবং আনছার আলীর ছেলে আমানত (৩২) পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান (পিএসসি), আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দুপুরের দিকে গোপন সংবাদে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত বারাদী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান তৈরীকৃত রুপার গহনা পাচার করা হচ্ছে।
৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলী, বারাদী বিওপি কমান্ডার নাঃ সুবেদার মোঃ জাকির হোসেন এবং সুলতানপুর বিওপি কমান্ডার মোঃ দুলাল হক সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের সময় সীমান্ত পিলার ৮০/৬-আর হতে আনুমানিক ২০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামের মোঃ ওয়াসিম বিশ্বাসের বসতবাড়ীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে । বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ওই ব্যক্তির বাসার ভিতর রক্ষিত ড্রেসিং টেবিলের নীচে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় একটি গামছা দিয়ে বাধা পোটলা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি প্যাকেট হতে ২৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম (২০১২ ভরি) ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ সময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ০৩ জন চোরাকারবারী নাস্তিপুর গ্রামের-মৃত হায়দোর আলীর ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮), তার স্ত্রী মোছাঃ রিমা খাতুন (২৭) ও তার মা মোছাঃ আরবী খাতুন (৫৫) আটক করতে সক্ষম হয়। একই গ্রামের অপর দুই চোরাকারবারী শিমুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়া (৩০) এবং আনছার আলীর ছেলে আমানত (৩২) পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নায়েব সুবেদার মোঃ জাকির হোসেন বাদী হয়ে রুপা চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা করতঃ আটককৃত ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।