মঙ্গলবার , ১৭ মে ২০২২ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

টাঙ্গাইলে দেড় হাজার একর কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিএডিসি’র খাল খনন

প্রতিবেদক
bdnewstimes
মে ১৭, ২০২২ ৭:৫২ অপরাহ্ণ

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা, কুড়াগাছা ও আউশনারা ইউনিয়নের দেড় হাজার একর কৃষি জমি আবাদযোগ্য করতে ও অর্ধলক্ষ মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে খিরাই খাল ও গুজা খাল খনন করেছে বিএডিসি। সাড়ে ৯ কি. মি. দীর্ঘ এ দুই খাল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতো। খাল খননে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মধুপুর বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, খাল দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে গিয়েছিলো। কোন কোন স্থানে দৃশ্যমানই ছিল না। যার ফলে এ খাল দুটি সংলগ্ন দেড় হাজার একর জমির পানি পাশের হাওদা বিলে নিষ্কাশিত হতে পারতো না। ফলে ভারী বর্ষণে এ সকল জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হত এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতো। তাছাড়া জমিগুলো জলাবদ্ধ থাকার কারণে রোপা আমণ আবাদ করতে পারতো না। কৃষকদের দাবিতে দুর্ভোগ এড়াতে খাল খননের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। চলতি অর্থবছরে বিএডিসি’র চলমান ‘ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কি. মিটার দীর্ঘ খিরাই খাল ও ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৬ কি. মি দীর্ঘ গুজা খাল পুনঃখনন করা হয়। উপকারভোগী কৃষক আলী আকবর ও আব্দুস ছাত্তার আকন্দসহ অনেকেই জানান, খাল দুটি খনন করায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধাতা থেকে মুক্তি পেয়েছে এলাবাসী। এতে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি আবাদের আওতায় আসলো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, খাল খননের ফলে খালের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি রোপা আমন ও বোরো মৌসুমে খালে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহমান থাকবে। শুকনো মৌসুমে এ পানি এলাকার কৃষক সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবে। উৎপাদন খরচও কম হবে। বিএডিসি’র (ক্ষুদ্রসেচ) প্রকল্পের টাঙ্গাইল জোনের সহকারী প্রকৌশলী আশিক জামান বলেন, খাল খননে বিস্তীর্ণ কৃষি জমির যোগাযোগ সহজ হয়েছে। খালের দুই পাড়ের জমির পানি নির্গমনের জন্য ইউপিভিসি পাইপ দিয়ে খালের প্রয়োজনীয় স্থানে আউটলেট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে হাওদা বিলের অনেকদিনের জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং বোরো ধান কৃষক নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারবে। ফলে অনেক কৃষক উপকৃত হবে এবং বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। বিএডিসির এরূপ বহুমুখী উদ্যোগের ফলে উপকারভোগী এই তিন ইউনিয়নের কৃষক বিএডিসির কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মধুপুরে বিএডিসি’র উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করেন। বিএডিসি’র “ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্প” এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম বলেন, ‘‘কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে খিরাই খাল এবং গুজা খাল পুন: খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। খাল দুৃটি পরিদর্শন করে পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়। খাল পুনঃখননের ফলে খাল পাড়ের জমির জলাবদ্ধতা আর থাকবে না এবং বোরো মৌসুমে খালের জমাকৃত পানি কৃষকরা সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। দাবির প্রেক্ষিতে মধুপুরে খিরাই ও গুজা খাল খননে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএডিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। খননের ফলে খালের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসল আনা নেওয়া ও পারাপারের জন্য একটি ফুটব্রীজ নির্মাণে দাবি করেছে এলাকাবাসী। ফুটব্রীজ নির্মাণের কাজ দ্রুত করা হবে।

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত