স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে। সাড়ে ৮ বছর পর ডাকা নৌপথ, সড়কপথ ও রেলপথ অবরোধের এ কর্মসূচি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বিএনপি বলছে, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থপাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী এ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির এই অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় রেখে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ, সমমনা ১২দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী জোট, জামায়াত, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণফোরাম (একাংশ), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়ে রুহুল কবির রিজভী সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বলেন, ‘অবরোধ পালিত হবে সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে। এর আওতায় থাকবে রেলপথ, রাজপথ এবং নৌপথ। অবরোধ বলতে আমরা সারা বাংলাদেশে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করাকেই বুঝিয়েছেন। এমনকি শহরের ভেতরেও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।’
রিজভী জানান, বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ঔষধ পরিবহন।
এদিকে অবরোধকে ঘিরে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তবে, বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির জন্য কোনো স্পট নির্ধারণ করা হয়নি। এ সম্পর্কে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি তো অবরোধ আহ্বান করেছে। এটা পালন করবে জনগণ। দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা নিজ নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করবে। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্পট নির্ধারণ করা হয়নি।’
সারাবাংলা/এজেড/এমও