বাংলাদেশের সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা । দুর্গা পূজায় সনাতনীরা এই ৫ টা দিন অনেক শ্রদ্ধা, ভক্তি, আনন্দ নিয়ে পালন করেন।আমরা সনাতনীরা বিশ্বাস করি প্রতিবছর মা মর্তলোকে এসে আমাদেরকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ দিয়ে যান। এই পূজায় প্রতিবছরের মতো এবারও সনাতনীরা সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায়-উপজেলায় গ্রামের মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার আয়োজন করেছে। সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় প্রশাসনিক ভাবে বিভিন্ন ভাবে নিরাপত্তা প্রধান করেন। তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সম্প্রীতির বন্ধনে লালিত আমরা বিশ্বাস করি।আমাদের দেশের সকল ধর্মের লোকেরা আমাদের এই উৎসবে আনন্দ করে থাকে। গতবছর অকাঙ্খিত ভাবে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা কখনোই আগে দেখা যায় নাই। আশাকরি সরকার এই বছর আন্তরিকগতায় এবং সুষ্ঠু নিরাপত্তা প্রধানে আরো সমৃদ্ধ প্রধান করবে। তাছাড়া তিনি নিজ ধর্ম পালনকারী কর্তাদের নিয়ে বলেন – অনেক মন্দিরে আমাদের ধর্মীয় কর্তাদেরও অনেক ভুল-ত্রুটি থাকে। যেখানে পূজার নামে অনেক ধরনের হেওনাপানা দেখা যায়। মন্দিরে পূজা মণ্ডপে ধর্মীয় গান না চালিয়ে ডিজে রেপ গান চালানো হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর জায়গায় ধর্মীয় গান বা গীতা পাঠ, নিতৃ পরিবেশ,ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা না করে শিল্পীদের দিয়ে কনসার্ট ও হিন্দি বা অনান্য গানের তালে ডান্স করে। অতি রঞ্চিতভাবে আলোক সজ্জা করে থাকে যা সত্যিকথায় আমাদের ধর্মীয় চেতনা বিরোধী। যা কখনো সনাতন সমাজ সমর্থন করে না। নিজেদের ধর্মীয় স্থান পবিত্র রাখা নিজেদেরই কর্তব্য। ধর্মীয় উৎসবের নামে যারা ধর্মীয় চেতনায় আঘাত হানবে তাদেরকে প্রশাসনিক ভাবে প্রতিহত করা উচিত। তিনি আরো বলেন -আমাদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সারা বাংলাদেশ সহ আমাদের জেলাতেও এই পূজা নিয়ে সংগঠনিক ভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার আগেও আমাদের বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে এর নেতৃত্বে প্রতিটি জেলা, উপজেলা প্রতিটি ইউনিট এ দূর্গাপুজায় তিন দিনের ছুটি,কঠোর নিরাপত্তা, সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরা প্রদানের দাবীতে মানব বন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে। আশাকরি এই বছর তেমন কোন সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ সকল ধর্মলম্বীরা অনেক সচেতন ও অনেক আন্তরিক সবাই এক সাথে এই পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবে।