মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ প্রতিনিধি ::
নওগাঁর রাণীনগরে হত্যা মামলার আসামী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এক বিধবাকে হত্যা চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী উপজেলার মালশন গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী ছালমা আক্তার (৪৯)। অভিযুক্ত আসামী একই গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিন সরদারের ছেলে চয়েন আলী সরদার (৩৫)।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে রাণীনগন থানায় মামলা করেছেন বিধবা ছালমা আক্তার। মামলার বিবরণে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে একা ছিলেন ছালমা আক্তার। এসময় পাশের একটি ঘরে দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ছামলা ঘরের পর্দা ছড়ালে দেখতে পায় একই গ্রামের চয়েন সরদার দাড়িয়ে আছেন। এসময় সে কিভাবে বাড়ির প্রবেশ করেছে এবং কেন প্রবেশ করেছেন জানতে চাইলে চয়েন বলেন পুলিশ থাকে তাড়া করেছে যার কারনে বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে এসেছি। এসময় চয়েনকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ছালমার শরীর বেঁধে ফেলার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার হাতের আঘাতে একটি দাঁত পড়ে যায় ছালমার। এসময় ছালমার হাতের কাছে থাকা রান্না করার বটি নিয়ে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা ও চিৎকার করতে লাগলে কোন দিন এসে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় চয়েন।
ভুক্তভোগি ছালমা আক্তার বলেন, বাসায় আমি একা থাকি, আমর ছেলে ঢাকায় থাকে। এই সুযোগে চয়েন বাড়িতে ঢুকে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য ২০১০সালে চয়েন তার স্ত্রীকে হত্যা করে কারাভোগ শেষে গত বছরের শেষের দিকে মুক্তি পায়। সে সময় আমার স্বামীসহ গ্রামের অনেকেই পুলিশকে সহায়তা করেছিল যাতে সে আটক হয় ও হত্যার মত জঘন্য অপরাধের শাস্তি পায়। হয়তো এ কারনেই চয়েন আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে আটকের চেষ্টা করছি।