সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: কেউ নির্বাচনে না এলে নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, নির্বাচন হলে কেউ নির্বাচন করতে পারে, নাও করতে পারে। নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপিকে পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছি, নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ সবাই এবার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষে আদাবর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হবে। নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচন প্রতিহতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। যে হাতে বোমা মারবেন, সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যে হাতে আগুন দেবেন, সেই হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কারণ আমরা জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, লালবাগ থেকে ছয়জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে, যারা ছাত্রদলের অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী। ওরা অস্ত্র আনছে, অস্ত্র মজুত করছে নির্বাচন ব্যাহত করার জন্য, নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য। যারা অস্ত্র মজুত করছে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, শুধু স্লোগান দিলে হবে না। সতর্ক সৈনিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। ওদের আস্তানাগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওরা কোথায় সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, কোথায় অস্ত্র মজুত করছে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। ওরা সেই পুরনো চরিত্রে ফিরে গেছে। ওরা জঙ্গিবাদ তৈরি করেছিল। দেশকে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। আবার দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে নানা নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নানক। বলেন, আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে। শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখেন। আমি যখন এমপি হয়েছিলাম, এই আদাবরকে বাসযোগ্য তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করার কথা দিয়েছিলাম। আদাবর কি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হয় নাই?
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মূল নায়ক জিয়াউর রহমান ছিলেন উল্লেখ করে নানক বলেন, তার নেপথ্যের ভূমিকার কারণেই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল, যার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।
আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীম। সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান তুহিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর