আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সরকারি বাজেট পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রত্যাখান করার পর পর্তুগালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডিসুজা।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দেশটির কাউন্সিল অব স্টেট প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভাঙার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ২০২২ সালের বাজেট পর্তুগালের এমপিরা প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে যাচ্ছেন পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট। তবে কবে নাগাদ পর্তুগালের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে তা বলা হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসো জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভাঙার ডিক্রিতে এখনো স্বাক্ষর করেননি প্রেসিডেন্ট। এজন্য কিছু দিন সময় চেয়েছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল তাকে জানিয়েছে যে জানুয়ারিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়া উচিত।
এদিকে, পর্তুগালে বাজেট প্রত্যাখ্যাত হওয়া মানে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে নিয়মটি এমন নয়। তবে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ ছাড়া তার কোনো উপায় নেই।
এর আগে বুধবার পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী পেড্রো সিজা ভিয়েরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য একটি দ্রুত নির্বাচনকে সর্বোত্তম বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ছয় বছর ধরে পর্তুগালে বেশ ভালোভাবেই সোশ্যালিস্ট কোস্টা সরকার চালাচ্ছিল। কোস্টার সাবেক শরিকরা রক্ষণশীলদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাজেট বিলের বিপক্ষে ভোট দেয়। এই বাজেট বিলে মধ্যবিত্তের জন্য আয়কর কমানো এবং করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে তিন দশমিক দুই শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল। বামপন্থি পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, সরকার ঘাটতি কমানোর ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল। শ্রমিক সুরক্ষার দিকটা অবহেলিত ছিল। সামাজিক সুরক্ষার কোনো উন্নতি ঘটানো হয়নি। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হয়নি।
সারাবাংলা/একেএম