স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের পর এক হাজার ৮০ পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ জন ফেল থেকে পাশ করেছে এবং গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে নতুনভাবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২ জন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পুনঃমূল্যায়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।
গত ২৮ জুলাই এসএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। পরদিন থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ফলাফলে অসন্তোষ আছে, এমন পরীক্ষার্থীদের রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ফল যাচাইয়ের আবেদন গ্রহণ করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা থেকে ২৬ হাজার ৬২৩ জন পরীক্ষার্থী ২৫টি বিষয়ে মোট ৭১ হাজার ১০৮টি উত্তরপত্র পুর্নমূল্যায়নের আবেদন করেছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আবেদন করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এক হাজার ৮০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ১৩০ জন ফেল থেকে পাশ করেছে এবং গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে নতুনভাবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২ জন। পাল্টেছে। আর গ্রেড পরিবর্তন হয়ে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে আরও ১৬২ হন। আবেদনকারীদের মধ্যে ৩৫৯ জনের গ্রেড পয়েন্ট বাড়লেও মোট সিজিপিএ বাড়েনি। আর অকৃতকার্য ৩০৫ জনের পরীক্ষার নম্বর বেড়েছে।
বাংলা প্রথম পত্রে ৪৮৯১ ও দ্বিতীয় পত্রে ৪৭১১, ইংরেজি প্রথম পত্রে ৮৭৬১ ও দ্বিতীয় পত্রে ৮৪৮৬, গণিতে ১০ হাজার ৫১৯, ইসলাম ধর্মে ৪২৭১, উচ্চতর গণিতে ৩৫৫১, বিজ্ঞানে ২২১৯, পদার্থবিদ্যায় ৩৬০০, রসায়নে ৩২৯৫, জীববিজ্ঞানে ৩৬২১, ব্যবসায় উদ্যোগে ১২৮২, হিসাববিজ্ঞানে ১৭৮৪টি উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের আবেদন জমা পড়েছিল।
এছাড়া বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৪৯৩৪, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ১০৪৪, ভূগোলে ৪৭০, হিন্দু ধর্মে ৭৬১, বৌদ্ধ ধর্মে ১২৬, খ্রিস্টান ধর্মে ৮, কৃষি শিক্ষায় ৮৯৭, পৌরণীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে ৩৪৫, অর্থনীতিতে ৮৯, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ২৫৯, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতায় ৩৯৩ এবং আইসিটি বিষয়ে ৭৯১টি উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের আবেদন জমা পড়েছিল।
করোনাকালীন সময়ে ২০২১ ও ২০২২ সালে পুনঃমূল্যায়নের পর ফল পরিবর্তন হয়েছিল যথাক্রমে ২১২ ও ১৮২ জনের। আর ২০২০ সালে স্বাভাবিক সময়ে ফল পরিবর্তন হয়েছিল ৬০৯ জনের।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ
