আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চীনের মন্থর অর্থনীতি গোটা অঞ্চলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বড় প্রভাব ফেলেছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের নতুন পূর্বাভাসে দেখা গেছে, এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে ভিয়েতনাম।
এর আগে, গত এপ্রিলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। এপ্রিলের পূর্বাভাসে চীনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৫ শতাংশ। তবে গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে চীনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের এমন উল্লেখযোগ্য হ্রাস গোটা অঞ্চলে গড় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ধরেছিলে ৫ শতাংশ।
চীনের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেলেও প্রতিবেশী ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের জন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ধরেছিল বিশ্বব্যাংক। তবে মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে তা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চলের মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডেও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যদি চীনকে বাদ দিয়ে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির গড় ধরা হয় তবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী তা হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ, চীনের মন্থর অর্থনীতির কারণে গোটা অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমেছে।
এই প্রতিবেদন পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলো নিয়ে করে থাকে বিশ্বব্যাংক। জাপান এবং দুই কোরিয়া এ প্রতিবেদনের আওতায় পড়ে না।
বিশ্বব্যাংকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ আদিত্য মাট্টু এ ব্যাপারে বলেন, এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির বড় কারণ হলো করোনাভাইরাস মহামারিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার ফল।
সারাবাংলা/আইই