সোমবার , ২৫ মার্চ ২০২৪ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

ফিনটেক নিয়ে কাজ করবেন ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান

প্রতিবেদক
bdnewstimes
মার্চ ২৫, ২০২৪ ১:৩০ অপরাহ্ণ


মো. সাইফুল আলম তালুকদার

ব্রাজিলে মুদ্রাস্ফীতির সফল ব্যবস্থাপনার জন্য বিখ্যাত তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ব্রাজিল) প্রধান রবার্তো ক্যাম্পোস নেটো। তার মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে ফিনটেক ফার্ম খোলার কথা বিবেচনা করছেন।

৫৪ বছর বয়সী রবার্তো ক্যাম্পোস নেটো ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ব্রাজিলের গভর্নর হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, লস এঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) থেকে অর্থনীতি এবং ফাইন্যান্সের উপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও ইউসিএলএ থেকে অর্থনীতিতে এবং ক্যালটেক থেকে অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্সে আলাদা দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

আর্থিক খাতে তার ব্যাপক পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে ফিক্সড ইনকাম, ডেরিভেটিভস, স্টক, হেজ ফান্ড, ট্রেডিং এবং ট্রেজারির মতো বিষয় নিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ব্রাজিল এবং বিদেশে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ‌তার কর্মজীবনে আর্থিক খাতে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগের জন্য খ্যাত ছিলেন। ভবিষ্যতের আর্থিক ব্যবস্থাকে রূপদানকারী অন্যান্য উদ্ভাবনের মধ্যে ব্লকচেইন এবং ডিজিটাল সম্পদ সম্পর্কিত গবেষণায়ও তিনি জড়িত রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে তিনি যে কাজগুলো করেছেন তার মধ্যে পিক্স চালুকরণ (তাৎক্ষণিক অর্থ আদান-প্রদান ব্যবস্থা; যা ভারতে ইউপিআই নামে পরিচিত – ইউপিআই গ্রহণে ৫০টি দেশ ভারতের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে), ওপেন ফাইন্যান্স বাস্তবায়ন, ক্ষুদ্রঋণ, ক্রেডিট ইউনিয়ন, গ্রামীণ ঋণ, রিয়েল এস্টেট ঋণ এবং সবুজ অর্থায়ন প্রচারের মতো উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কর্পোরেট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

পিক্স প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ব্রাজিলে ৩০ শতাংশ জনগণ ব্যাংকিং সেবার বাইরে ছিল, যা বর্তমানে নেমে এসে ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ‌এই প্ল্যাটফর্ম চালু হওয়ার পর তা দ্রুত গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ফলে ৪৩ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন লেনদেন ব্যবহারে পিক্সের উপর নির্ভর করছে। ২০২০ সালের শেষ দিকে এটি প্রচলন হওয়ার পর থেকে ১৬ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী এই পরিষেবাটি ব্যবহার করেছেন।‌ বর্তমানে অন্যান্য দেশগুলোও পিক্স গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছে। গত মাসে সাও পাওলোতে একটি সম্মেলনে জি-২০ গ্রুপ তাদের দেশের সঙ্গে পিক্সকে কিভাবে জড়িত করা যায় এই নিয়ে তারা যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রদানের খরচ তরান্বিত এবং হ্রাস করার জন্য পিক্সকে গ্রহণ করার কথা এসব দেশ বিবেচনা করছে।

পিক্সকে বিশ্বের সেরা পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় ২০২১ সালে তিনি পেয়েছেন ‘ফিনটেক এবং রেগটেক গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস’। নেটোকে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ (ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস গ্রুপের প্রকাশনা) ২০২১ সালে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করে। কোভিড-১৯ মহামারি, রুশ-ইউক্রেনীয় দ্বন্দ্ব এবং বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থার কঠোরতার প্রভাব মোকাবিলায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি উত্তর আমেরিকার ম্যাগাজিন ‘ল্যাটিনফাইন্যান্স’ থেকে ২০২২ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও ২০২২ সালে ৯০টিরও বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক মূল্যায়নে ইউরোপীয় প্রকাশনা ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন’ দ্বারা তার কর্মক্ষমতা ‘এ’ গ্রেডে শ্রেনীবদ্ধ করা হয়েছে।

জাইর বলসোনারোর আমলে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেও ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা নেটোকে ঠিকই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে বহাল রেখেছেন। ‌‌লুলা অবশ্য নেটোর কড়া সমালোচক ছিলেন, কারণ ব্রাজিলে সুদের হার বর্তমানে ১১.২৫% হলেও ২০২০ সালে এটি ছিল মাত্র ২%। নেটোর আমলে ২০২২ সালে সুদের হার পৌঁছে গিয়েছিল ১৩.৭৫% এ। গড় হার হিসাব করলে, ১৯৯৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলে সুদের হার ছিল ১৩.৯%। গোটা দক্ষিণ আমেরিকাতে মুদ্রাস্ফীতি ৫% এর কাছাকাছি হলেও ব্রাজিলে ২০২৪ সালে থাকবে ৩.৫% আর ২০২৫ সালে সেটি কমে দাঁড়াবে ৩.২% তে।

ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে ছয় বছর অতিক্রান্ত করার পর নেটো ব্যাংকিং পরিষেবাগুলিতে আরও বিস্তৃত সেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে সদ্ব্যবহার করার জন্য তিনি ফিনটেক কোম্পানি খুলবেন।

ক্যাম্পোস নেটোই ব্রাজিলের প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান নন যিনি দায়িত্ব পরবর্তীকালে আর্থিক শিল্পে যোগ দিচ্ছেন। আর্মিনিও ফ্রাগা, যিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ব্রাজিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, তিনি এখন Gavea Investimentos Ltda-এর সহ-প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। আরেকজন প্রাক্তন গভর্নর, ইলান গোল্ডফায়েন‌ ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর থাকার পরে ২০২২ সালে ইন্টার আমেরিকান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। তবে নেটোই হবেন ব্রাজিলের একমাত্র প্রাক্তন গভর্নর যিনি ফিনটেক নিয়ে কাজ করবেন।

সারাবাংলা/আইই





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত