আইসক্রিম, চকোলেটের মতো ঠান্ডা খাবার খেতে সকলের মন চায়৷ গরমে ঠান্ডা খাওয়ার খাওয়ার মজাই আলাদা৷ আবার শীতের সময় বেশিরভাগ জনেই ঠাণ্ডা খাবার এড়িয়ে চলেন৷ কিন্তু বর্ষায় ঠান্ডা খাওয়া উচিত নাকি উচিত নয়? এই প্রশ্ন সকলের মনেই উঁকি দিয়ে যায়৷ ডা: সোমনাথ গুপ্ত একটি সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত ভাবে জানালেন এই সময় কী করা উচিত৷
ডঃ সোমনাথ গুপ্ত জানালেন, বৃষ্টির সময় আর্দ্রতার মাত্রা অনেক বেশি হয়ে যায়। বাতাসের আর্দ্রতার প্রভাবে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর৷ ঠান্ডা খাবার এই সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
পুনের ডিপিইউ প্রাইভেট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডাঃ প্রসাদ কুয়ালকার বলেছেন যে ঠান্ডা খাবারগুলির কারণে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিকাশের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ফলে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷ ডায়ারিয়া বা ভাইরাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়৷ ডিসপেপসিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷ ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেবে ঠাণ্ডা খাবার৷ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷
কোন ধরণের খাবার খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তার তালিকা নীচে দেওয়া হল৷
বর্ষাকালে উষ্ণ গরম তরল স্যুপ, গ্রিন টি, হালকা গরম জল খাওয়া ভাল৷ হালকা মশলাযুক্ত খাবার বর্ষাকালে খাওয়া উচিত কারণ এগুলো হজমে সাহায্য করে।
ঠান্ডা খাবার বা স্যালাড এড়িয়ে চলুন৷ ভাল হজমের জন্য হালকা রান্না করা সবজি খাওয়াও ভাল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খান।
আইসক্রিম, চকোলেট বা ঠান্ডা দুগ্ধজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।
খাবারে আদা, হলুদ, গোল মরিচ ইত্যাদির পরিমাণ বাড়ান। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবার পাশাপাশি হজমেও সহায়তা করে।
জলের ব্যাপারে সতর্ক হন৷ বিশুদ্ধ জল খাবেন৷ স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে সংক্রমণ এড়িয়ে চলা যাবে৷
আরও পড়ুুন: বর্ষায় এই খাবারগুলিতে ‘না’! নয়তো অজান্তেই হুহু করে বাড়বে ওজন, মেনে চলুন ডায়েটিশিয়ানের এই তিন পরামর্শ
নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা বা দ্রুত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
বাড়িতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মাঝে মাঝে ঘরের জানালা খুলবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।