মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে সেবার আমূল পরিবর্তন করলেন কর্মকর্তা এ. কে. এম. আবু সাঈদ দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে লক্ষাধিক টাকার মাদক ও নকল সিগারেট জব্দ Sherlyn Chopra Reveals She’s Getting Breast Implants Removed: ‘To Bring Back Stamina Into My Life’ | Bollywood News কালিয়াকৈরে শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় Ian Botham slams England’s lack of preparation before Ashes; batting coach Marcus Trescothick calls it ‘way of the modern game’ | Cricket News Dharmendra Health Update: Esha Deol’s Former Husband Bharat Takhtani Reaches Breach Candy Hospital | Bollywood News জবি ছাত্রদলের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২ Chess World Cup: ‘Where are the bedbugs?’ Dutch No. 1 Anish Giri lashes out at criticism around playing conditions in Goa | Chess News মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ফু-ওয়াং সিরামিকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা – Corporate Sangbad

‘বাংলা ব্লকেড’: এবার টাইগারপাসে সড়ক অবরোধ

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ১৮ সময় দেখুন
‘বাংলা ব্লকেড’: এবার টাইগারপাসে সড়ক অবরোধ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ষোলশহর স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পাঁচটার দিকে নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় আসলে সেখানে পাঁচ মিনিট অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে টাইগারপাসের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সন্ধ্যা ছয়টায় শিক্ষার্থীরা টাইগারপাসে গিয়ে সড়কে বসেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগরীর টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, লালখানবাজার, আমতল এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়ই দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক সারাবাংলাকে জানান, শিক্ষার্থীরা দুই নম্বর গেইট থেকে মিছিল নিয়ে টাইগারপাস এলাকায় এসে অবস্থান নেন। প্রায়ই আধাঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। এজন্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে শিক্ষার্থীরা নতুন রেল স্টেশনে মিছিল নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তারা ট্রেন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। শান্তিপূর্ণভাবেই তারা কর্মসূচি শেষ করেছেন।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এ কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব ধরনের কোটা ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার দাবিতে ওই বছর আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ওই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে সব ধরনের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থাই বাতিল করে সরকার।

ওই সময় ৩০ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-নাতি-নাতনি কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা ও ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা চালু ছিল সরকারি চাকরিতে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হয়।

ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ২০২১ সালের জুন মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সরকারি চাকরিতে ৯ম গ্রেড থেকে ১৩ম গ্রেড পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

রিটের শুনানি নিয়ে ৫ জুন ঘোষণা করা রায়ে হাইকোর্ট পরিপত্রের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের অংশটি অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপরই শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র ব্যানারে নতুন করে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছেন।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিগুলো হলো— ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, তবে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে কোটা রাখা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ





Source link

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর