শরীরের অন্যান্য অংশের মতো নখেরও যত্ন প্রয়োজন। তবে এর জন্য যে সবসময় ব্যয়বহুল ম্যানিকিওর বা পেডিকিওর করাতে হবে তার কোনও মানে নেই। বরং ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতেই চমৎকার নখের যত্ন নেওয়া যায়। আর কে না জানে নখ পরিষ্কার থাকলে সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকে।
অতিরিক্ত জল ঘাঁটলে নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এমনকী ডিটারজেন্ট বা সাবানের কারণেও এমনটা হতে পারে। এতে একটু চাপ পড়লেই নখ ভেঙে যায়। অনেক সময় ভুল খাদ্যাভ্যাসও নখকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলে। তাই নখের যত্নে পুষ্টিকর খাবারদাবারের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এখানে তেমনই কিছু ঘরোয়া টিপস দেওয়া হল।
গ্লাভস পরিধান: অতিরিক্ত জল এবং ক্ষতিকর রাসয়নিকের সংস্পর্শে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। বাড়িতে থালাবাসন ধোঁয়া, ঘরদোর মোছা কিংবা ধুলোবালি পরিস্কার করতেই হয়। এই সব কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস পরা উচিত। এটা হাত এবং নখকে অতিরিক্ত জল এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা করবে। হাত যাতে বেশিক্ষণ জলে ভেজা না থাকে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : শীতকালভর বিয়ের নিমন্ত্রণ, ৫ রকমের আইলাইনার ব্রাশের ব্যবহার দেখে রাখুন
ছোট নখ: লম্বা নখের তুলনায় ছোট নখ সবসময়ই ভাল। পরিস্কার করা সহজ। খুব একটা রক্ষণাবেক্ষণও করতে হয় না। ছোট নখের নিচে ময়লা জমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এগুলো সহজে ভাঙে না এবং দেখতেও সুন্দর লাগে। ছোট নখে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াও কম থাকে।
কৃত্রিম নখ এড়িয়ে চলতে হবে: কৃত্রিম নখ দেখতে গ্ল্যামারাস। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এই নখ লাগানোর পদ্ধতি এবং আঠা ব্যবহার করার কারণে আসল নখ শুধু দুর্বল হয় তাই নয়, প্রচুর পরিমাণে ময়লাও জমা হয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রজননস্থল হয়ে ওঠে।
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাদ্য শুধু সমগ্র শরীরের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যকর নখের জন্যও প্রয়োজনীয়। মজবুত নখের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস সমৃদ্ধ খাবার দরকার। কোনও কারণে নখ দুর্বল হয়ে গেলে চিকিতসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বায়োটিনের মতো সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nail care