স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চেক প্রতারণার মামলায় দণ্ডিত বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শিল্পপতি ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান এবং তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা মান্নানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানার আদালতে মান্নান সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ রহমান সারাবাংলাকে জানান, চেক প্রতারণার অভিযোগে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী। এই মামলার রায়ে গত বছরের ১৯ অক্টোবর তাদের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের ৪৮ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। নির্ধারিত তারিখে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জরিমানার অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে জামিন চেয়ে আপিল করেন। আদালত তাদের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ ফোরকান সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রীর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারা আপিল করেননি। আজ (মঙ্গলবার) তাদের আইনজীবী আদালতের কাছে এসে জানান, তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। এ সময় আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
সানম্যান গ্রুপের কর্ণধার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান নব্বই দশকে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিন দফায় তিনি বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারিত হন ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি ২০০৪ সালে তিনি রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করলে মান্নান সেই দলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ২০১৮ সালে তিনি বিকল্পধারা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/টিআর