স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ভারতের কাছে যা যা চাওয়া হয়েছে তারা সব দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। তবে আশা করি সেটিও হয়ে যাবে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের নানা বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা আছে। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আপনারা ভারতের সঙ্গে দেয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছি। কোনো দেশের ছিটমহল এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে যে সমস্যা সেগুলো সমাধান হবে।
দলের দায়িত্বে থাকার একটা বয়সের সীমারেখা থাকা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কোনো বয়স নেই। মুহিত সাহেব অর্থমন্ত্রী ছিলেন ৮০ বছর পার হওয়া পর্যন্ত। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতির কোনো সময়সীমা থাকা উচিত না, যতক্ষণ তিনি সক্ষম থাকবেন, তিনি যদি মনে করেন আমি অবসরে যেতে চাই তিনি ছেড়ে দিতে পারেন। তার অভিমত প্রকাশের পর দল যদি মনে করে তাকে অবসর দিতে পারে, তাকে সম্মানজনক উপদেষ্টা পদ দেওয়া যেতে পারে।
তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার, বর্তমান মন্ত্রিসভা কিছুটা দুর্বল বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মন্ত্রিসভায় যারা আছেন তারা দুর্বল নয়। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কিছুটা দুর্বলতা থাকতে পারে। কিন্তু মন্ত্রিসভা দুর্বল নয়। কোনো কাজ কিন্তু ঠেকে থাকছে না।
নির্বাচনে ইভিএম প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইসির সঙ্গে সংলাপে আমরা ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছি। গত নির্বাচনে চেয়েছি, এবারও আমরা বলেছি ৩০০ আসনে ইভিএম চাই। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে ১৫০ আসনে আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোট। এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। সুষ্ঠূ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই ঠিক। আমাদের দাবি নির্বাচনে কারচুপি জালিয়াতি রোধের জন্য এটি ভালো। নাগরিকরা তো তাদের দাবি তুলতেই পারে, ইসি কী করবে সেটি তো তাদের সিদ্ধান্ত।
নির্বাচন সামনে রেখে দলের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, গণতান্ত্রিক রাজনীতি চাই। রাজনীতিতে আন্দোলন আছে, থাকবে। জনগণের সম্পৃক্ততা আমরা চাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক কথা, সহিংস আন্দোলন তো জনস্বার্থে প্রতিরোধ করতে হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।
সারাবাংলা/জেআর/আইই