আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সরাসরি গুলাগুলির অনুশীলন শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় জানুয়ারির একটি যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য মিয়ানমারের সামরিক এবং সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীকে চাপ দিতে এই অনুশীলন শুরু করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড।
সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের স্থল ও বিমান বাহিনী মঙ্গল ও বুধবার দ্রুত সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন, নির্ভুল হামলা এবং অন্যান্য অভিযানের মহড়া দিচ্ছে।
মুখপাত্র কর্নেল তিয়ান জুনলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে যুদ্ধ ইউনিটগুলো চীনের সার্বভৌমত্ব, সীমান্ত স্থিতিশীলতা এবং চীনা জনগণের জীবন, সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রস্তুত।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলো বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে চীনের কুনমিংয়ে আলোচনার পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তিনটি জাতিগোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়।
তবে কোনো পক্ষই এই যুদ্ধবিরতি পালন করেনি। এখনও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের লড়াই চীনের সীমান্তবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। চীনের সর্বশেষ মহড়াকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী উভয়েকেই যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য একটি বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে সংঘাত যেন চীনে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে মিয়ানমারের লড়াইরত পক্ষকে নিরুৎসাহিত করার একটি উপায় এই মহড়া।
এশীয় বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুন সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিতাও সফর করেছেন। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেং সেদেশের সামরিক শাসনের নেতৃত্বদানকারী সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
পিএলএ সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড গত নভেম্বরেও মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সরাসরি গুলাগুলির অনুশীলন করেছিল। ওই অনুশীলনে তারা স্থল বাহিনীর তৎপরতা ও সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা করে।
সারাবাংলা/আইই