মঙ্গলবার , ১৯ অক্টোবর ২০২১ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

মেটাভার্স গড়তে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে ফেসবুক

প্রতিবেদক
bdnewstimes
অক্টোবর ১৯, ২০২১ ৮:০৬ অপরাহ্ণ


আধুনিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগত মেটাভার্স হতে যাচ্ছে আগামীর বাস্তবতা। অনলাইন বাস্তবতার এই জগতে হেডসেট ব্যবহার করে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন গেমস খেলতে, এমনকি চাকরিও করতে পারবে। অর্থাৎ সশরীরে উপস্থিত না হয়েও যন্ত্রের সাহায্যে তার উপস্থিতি দেখানো যাবে। এবার এমনই এক মেটাভার্স গড়তে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে ফেসবুক। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, বলছে তারা।

সম্প্রতি ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ এক ব্লগ পোস্টে এমনই এক ঘোষণা দিয়েছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে ভুল, ক্ষতিকর ও নেতিবাচক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ সম্পর্কিত বিতর্কের মধ্যেই এমন ঘোষণা দিলেন তিনি।

মেটাভার্স গড়তে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে ফেসবুক

ওই ব্লগপোস্টে বলা হয়, নিত্যনতুন সৃষ্টিশীল, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচনের সক্ষমতা আছে মেটাভার্সের। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের মানুষরা এই প্রযুক্তির একদম শুরু থেকেই যুক্ত থাকার সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যেসব নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে তার মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা থাকবে বিশেষায়িত উচ্চতর জ্ঞানসম্পন্ন প্রকৌশলীদের। ইইউতে বিনিয়োগ অনেক সুবিধা দেবে যার মধ্যে রয়েছে বড় আকারের ভোক্তা বাজারে প্রবেশ, প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চমানের প্রতিভা।

বর্তমানে এটিই ফেসবুকের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান কিনে আত্তীকরণের ইতিহাস থাকা ফেসবুকের দাবি একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান রাতারাতি মেটাভার্স তৈরি করতে পারবে না। তাই তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সম্প্রতি ‘দায়িত্বশীলভাবে মেটাভার্স তৈরিতে’ সহায়তা করার জন্য বেশকিছু অলাভজনক সংগঠনে ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে ফেসবুক। কিন্তু তারা এও মনে করে যে সত্যিকারের মেটাভার্স আইডিয়া বাস্তবায়নে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর লেগে যেতে পারে।

ফেসবুকের এই নতুন প্রজেক্ট নিয়ে সমালোচনাও আছে। কোন কোন সমালোচকদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যেসব নেতিবাচক প্রচারণা আছে, সেটি থেকে বের হয়ে ইমেজ পুনরুদ্ধারেই নতুন এই ঘোষণা। এদেরই একজন সম্প্রতি ফেসবুকের সমালোচনায় মুখর হওয়া সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হজেন। তিনি ফেসবুকের একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।

ফেসবুকের আভ্যন্তরীণ গবেষণায় বের হয়ে এসেছে যে ইনস্টাগ্রাম কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। এটি কিশোরদের জন্য একটি বিষাক্ত জায়গা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের সিক্সটি মিনিট অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে হজেন অভিযোগ করেন, এই গবেষণার ফলাফল ফেসবুক বাইরে আসতে দেয়নি। এরপর ক্যাপিটল হিলের শুনানিতেও ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলের আইনপ্রনেতারা ফেসবুকের বিরুদ্ধে একমত পোষণ করে। বলা হচ্ছে সাম্প্রতিক এই বিতর্ক থেকে নজর সরাতেই মেটাভার্সের প্রসঙ্গ সামনে আনছে ফেসবুক।

মেটাভার্স কি?
অনেকে ভাবছেন এটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এর স্যুপড-আপ (souped-up) বা বর্ধিত সংস্করণ আবার কেউ কেউ মনে করেন, মেটাভার্সই হতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত। কম্পিউটারে থাকার পরিবর্তে, মেটাভার্সে আপনি একটি হেডসেট ব্যবহার করে ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারেন যা সব ধরণের ডিজিটাল পরিবেশকে সংযুক্ত করে।

বর্তমান ভিআর এর বিপরীতে, যা বেশিরভাগই গেমিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, এই ভার্চুয়াল জগতটি কার্যত যেকোনো কিছুর জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে– কাজ, খেলা, কনসার্ট, সিনেমা ভ্রমণ অথবা শুধুই আড্ডা দেওয়া। অনেকেই কল্পনা করছেন মেটাভার্সে তাদের একটি থ্রিডি অবতার থাকবে। কিন্তু যেহেতু এটি এখনও একটি ধারণা, তাই মেটাভার্সের কোন একক সম্মত সংজ্ঞা নেই।





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন