সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা সংঘাত চাই না। রক্তের প্রতিশোধ রক্তের বিনিময়ে নিতে চাই না। আমরা চাই না আমাদের মাতৃভূমি ধ্বংস হোক। কিন্তু খুনির দলেরা যদি আমাদের প্রিয় দেশকে ধ্বংস করতে চায়, দেশের মানুষের রক্ত ঝরাতে চায় তাহলে আমরা বসে থাকব না। উচিত শিক্ষা দিব, যাতে তারা দেশের মানুষের কোন ক্ষতি করতে না পারে। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার হুমকি দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর যদি বিন্দুমাত্র আঘাত আসে তাহলে দেশের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদেরকে আমরা নিশ্চিহ্ন করে ফেলব।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ঠিক তখনই বিএনপি জামাতিদের একমাত্র শত্রুতে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে তারা আবারও দেশকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশে যে দুঃশাসন কায়েম হয়েছিল ঠিক তেমন করতে চায়। এরা দেশকে আবার অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চায়। এর জন্য তারা প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এটি কোনো মুখ ফুসকে বের হওয়া কথা না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে সম্মানিত। বিশ্বের বড় বড় ব্যক্তিরা আজ বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে সম্মান করে। এ সব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২৫ বছর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। আজ বাংলাদেশ সবদিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে আবারও নতুন করে ধূম্রজাল বিস্তার করছে। এরা মানুষ পুড়িয়ে মেরে অগ্নিসন্ত্রাস করেই থেমে থাকেনি। এরা রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনা সরকারকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে রাজনীতি সে রাজনীতি নষ্ট করার জন্য সব চেষ্টাই করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংস ও খুনের রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে আবার তাদের পুরনো চরিত্রে ফিরে গেছে। তাদের জন্ম হয়েছে খুনের রাজনীতির মাধ্যমে। জাতির পিতা ও তার পরিবারদের হত্যা করার মধ্য দিয়েই বিএনপি জামাতের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর জন্য তারা ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিল। তারপরও তারা খুনিদের রক্ষা করতে পারেনি। ২১ বছর পর খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
মকবুল হেসেনকে নিয়ে বাহাউদ্দিন আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক মকবুল হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন প্রকৃত সৈনিক। তিনি সব সময় মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতেন। তিনি ছিলেন আপসহীন। কখনো তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবেও ধানমন্ডি তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুরের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি তার দায়িত্ব সবসময় সফলতার সাথে পালন করতেন। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী। তিনি একজন সফল মানুষ ছিলেন। জীবনে সফলতার শেষ নেই। তার এই সফল কর্মময় জীবন ও জাতির পিতার আদর্শের প্রতি তার আস্থা তাকে সব সময় মনুষের মাঝে বাচিয়ে রাখবে।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।
সারাবাংলা/এনআর/এনইউ