স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুগপৎ আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনি এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, গত সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ইবরাহিম মহাজোটের প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য এসেছে।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও মহানগরীর একাংশ) আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে তিনি লড়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে। সেই নির্বাচনে হেরেছিলেন ইবরাহিম।
তবে নির্বাচনের পরও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের হয়ে সরকার বিরোধী অবস্থানে সক্রিয় ছিলেন ইবরাহিম। তিনি ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বুধবার (২২ নভেম্বর) সেই জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন রাজনৈতিক জোট করেছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। পাশাপাশি বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নানামুখী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ইবরাহিমের নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি যৌথভাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিলো।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর জানার পর হাটহাজারীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
‘বেঈমানি করা ইবরাহিমের মজ্জাগত ও স্বভাবসিদ্ধ’ মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে জোটকে সম্মান দেখিয়ে তার মতো একজন ‘সিঙ্গেলম্যানকে’ মনোনয়ন দিয়েছিল এবং ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি মহাজোটের প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তার জন্য কাজ করতে গিয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাদের কারও খোঁজও নেননি ইবরাহিম।’
বিজ্ঞপ্তিতে ইবরাহিমকে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং সকল অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তাকে দলের কেউ কোনোভাবে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন এবং পৌরসভার আহবায়ক জাকের হোসেন ও সদস্য সচিব অহিদুল আলমের নাম উল্লেখ আছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে