আগামীকাল ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ মেধা ও চেষ্টা দিয়ে তৎপর আছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করতে পারি ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটবে না। তবে আশঙ্কার বিষয়টি আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ মেধা ও চেষ্টা দিয়ে তৎপর আছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন যারা জঙ্গি হামলা করার চেষ্টা করছে তাদের প্রধান টার্গেট হলো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসা। ছোট একটি ঘটনা ঘটিয়েই যেন তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসতে পারে। তাদের জন্য ১৫ আগস্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ভেন্যুর আশেপাশে না হোক, ভেন্যু থেকে দুই কিলোমিটার দূরেও যদি একটা বোমা ফাটাতে পারে এটি কিন্তু আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই দিক বিবেচনা করে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যে গ্রুপটি পাঁচটা ট্রাফিক পয়েন্টে ছোট ছোট বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এরপর আরেকটু শক্তিশালী বোমা তারা এনেছিল। ধাপে ধাপে তারা উন্নতি করছিল। সেই পুরো গ্যাংটা ধরা পড়ে গেছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা পৃথিবী এখন সাইবার ওয়ার্ল্ডের ভেতরে বন্দি হয়ে গেছে। জঙ্গিরাই সাইবার সুবিধা ব্যবহার করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা, উদ্বুদ্ধ করছে। সম্প্রতি আমরা দেখছি, আফগানিস্তানে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তালেবানদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কিছু মানুষ তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে হিজরত করেছেন। ধারণা করছি, কিছু মানুষ ভারতে ধরা পড়েছেন। কিছু মানুষ পায়ে হেঁটে আফগানিস্তানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। শুধু আমরা না, বিভিন্ন সংস্থা সাইবার ওয়ার্ল্ড মনিটর করে। যখনই সন্দেহজনক কিছু মনে হয়, আমাদের জানায়। কারণ অপারেশন আমরা করি। যত গোয়েন্দা সংস্থা আছে সবাই তৎপর আছে।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকে। মানুষকে বেশ কিছু পথ হেঁটে আসতে হয়। আমাদের আউটার চেকপোস্ট যেগুলো থাকবে, সেখানে ভালো মতো তল্লাশি করে আমরা ঢুকতে দেবো। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ এখানে থাকবেন শুধুমাত্র তার নিরাপত্তায় নিয়জিত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বের হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রবেশ করবেন। তারপর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সকালে শ্রদ্ধা জানাতে না পারলে সব শেষ হয়ে গেল তা না। আমরা সারা দিন থাকবো। একসঙ্গে ভিড় না করে পরেও আসতে পারবেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এখানে থাকবে। শ্রদ্ধা জানাতে এসে অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে যান। আমরা অনুরোধ করবো যত দ্রুত সম্ভব শ্রদ্ধা জানিয়ে বের হয়ে যাবেন। একসঙ্গে বেশি মানুষ ভিড় করলে মহামারিকালে সবার জন্যই ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে— বলেন শফিকুল ইসলাম।