নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত টাকা নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পরেও নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।
ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। কোম্পানিটির ২০১৮ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরেও বিগত ৬ বছরের ইতিহাসে ২৫০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নাই। যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া দূরহ হয়ে উঠে।
বার্জার পেইন্টসের ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ টাকার পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শেয়ারপ্রতি ৬২.৬৮ টাকা হিসেবে নিট ২৯০ কোটি ৭০ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে।
এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ অন্তর্বর্তী ৩০০ শতাংশসহ মোট ৪০০ শতাংশ হারে ১৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা পুঁজিবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
এর আগের বছর বার্জার পেইন্টস থেকে ৩৭৫ শতাংশ হারে ১৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। ওই বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছিল ২৬৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার।
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় এবং লভ্যাংশে কোম্পানিটির উন্নতির পরেও শেয়ার দর কমেছে।