জলপাইগুড়ি: আনন্দ যেমই হোক, বাঙালির মিষ্টি ছাড়া চলে না। আট থেকে আশি মিষ্টি পছন্দ করে না, এমন ব্যক্তি খুঁজে পেতে গেলে আতসকাঁচ লাগবে। খাওয়ার শেষে দই-মিষ্টি ছাড়া খাওয়াই অসম্পূর্ণ। সে কোনও অনুষ্ঠান -উৎসব হোক কিংবা পুজো, মিষ্টি থাকবেই। আর এই মিষ্টির মধ্যে কালাকাঁদ হল সর্বঘটের কাঁঠালি কলার মতন। অনেক জায়গায় কালাকাঁদ পাওয়া গেলেও জলপাইগুড়ির এই কালাকাঁদের স্বাদই আলাদা। আর এই অন্যরকম স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্য এই দোকানের কালাকাঁদকে শহরবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
খাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা খাদ্য রসিক বাঙালির কাছে নতুন বিষয় নয়। মিষ্টির ক্ষেত্রে তো একেবারে নয়। বর্তমানে অনেকেই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ফিট থাকতে মিষ্টি তথা সুগারকে বর্জন করছেন। অনেকে আবার সুগারে আক্রান্ত হওয়ায় মিষ্টির দিকে তাকানোই বন্ধ করেছেন। তাই বলে কি মিষ্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা যায়? তাই সবদিক মাথায় রেখেই মিষ্টিপ্রেমীদের মুখে হাসির ফোটাতে জলপাইগুড়ির ঢাকেশ্বরী কালাকাঁদ তৈরি করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির ছাদেই দক্ষিণেশ্বর! মন্দির তৈরি করে তাক লাগালেন কোচবিহারের বাসিন্দা
বাঙালি মানেই যে ভোজনরসিক, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই কালাকাঁদের খ্যাতি জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে অন্য জায়গায়। জনপ্রিয় এই মিষ্টি ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিয়েছে। চাহিদা এতটাই বেশি যে বেলা ১২’টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় দোকানের সমস্ত কালাকাঁদ। দামও সাধারণ মানুষের নাগালেই, প্রতি পিস মাত্র ১২ টাকা।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে তরমুজ ক্ষেতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! মাথায় হাত কৃষকদের
জানা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক বছরের কাছাকাছি বয়সী এই দোকানের অনেক মিষ্টিই বহু জায়গায় পাড়ি দিয়েছে। এই দোকানের কালাকাঁদ খেতে একদম নরম ও রসালো। সবাই খেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। কালাকাঁদ কিন্তু শুধু বাঙালির মিষ্টি নয়, ছোট-বড় সকলেরই খুবই পছন্দের। খুব কম উপাদান লাগে এটি বানাতে। বানানোর পদ্ধতিও খুব সহজ আর ঠিকমতো তৈরি করলে প্রশংসা অবশ্যই পাবেন।
কালাকাঁদ বিক্রেতা বলেন, আমাদের তিন পুরুষের দোকান। জলপাইগুড়ি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নামডাক রয়েছে। ক্রেতাদের মন জয় করাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই আমরা কোনও ভেজাল জাতীয় দ্রব্য মিষ্টি বানাতে ব্যবহার করি না। এক ক্রেতা জানান, “এই দোকানের কালাকাঁদ খেয়ে দেখলে অন্য কোনও দোকানের কালাকাঁদ খেতে ইচ্ছে করবে না। অসাধারণ স্বাদ মিষ্টির। দামও সাধ্যের মধ্যেই। কিন্তু পাওয়াটাই অসম্ভব হয়ে ওঠে। কালাকাঁদ ছাড়াও অন্যান্য মিষ্টিও খেতে খুব ভাল। কোনও অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টি কিনতে গেলে রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কিনতে হয়।”
সুরজিৎ দে
আপনার শহর থেকে (জলপাইগুড়ি)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengali Sweets, Jalpaiguri