সোমবার , ৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ক্যারিয়ার
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তরুণ উদ্যোক্তা
  8. ধর্ম
  9. নারী ও শিশু
  10. প্রবাস সংবাদ
  11. প্রযুক্তি
  12. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  13. বহি বিশ্ব
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার নাটক সাজিয়ে টাকা লোপাট, গ্রেফতার ১

প্রতিবেদক
bdnewstimes
অক্টোবর ৯, ২০২৩ ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে অচেতন হয়ে নাটক সাজিয়েছিলেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার আবদুর রহিম (৩৩) নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার চরমজিদ গ্রামের বাসিন্দা।

ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী সারাবাংলাকে জানান, রাকিব ফিশ নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন রহিম। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে প্রতিষ্ঠানের ছয় লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে রাণী রাসমনি ঘাটে নিয়ে যেতে বলা হয়। সে ওই টাকাসহ প্রতিষ্ঠানের এক দেনাদারের ৬০ হাজার ৩০০ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এরপর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার নাটক সাজায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইমান হাসান সারাবাংলাকে জানান, রহিম টাকা নিয়ে প্রথমে তার বাড়ি নোয়াখালী চলে যায়। সেখানে টাকাগুলো রেখে সীতাকুন্ডের কালুশাহ মাজারের কাছে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে শুয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন প্রতিষ্ঠানের মালিককে খবর দিলে তিনি গিয়ে তাকে উদ্ধার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় সে নিজেই আমার টাকা কোথায় বলে বিলাপ করতে থাকে।

তিনি বলেন, ‘পরে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কিছু জানে না বলে আমাদের জানায়। এরপর আমি পাহাড়তলী বাজার ও আশপাশের সড়কে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তার গতিবিধি জানার চেষ্টা করি। সেখানে দেখা যায়, সে ঘটনার দিন বিকেল পাঁচটার পর শপিং ব্যাগে করে টাকা নিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছে। তাকে ফুটেজ দেখালে সে জানায় লেগুনা গাড়িতে উঠে পাহাড়তলীর অলংকার মোড়ের আগে নামার পর কি হয়েছে কিছু বলতে পারে না।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দুই দিন সে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তখন হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের জানায়, তার রিপোর্টে নেশাজাতীয় দ্রব্যের বা অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো সিনড্রোম তারা পায়নি। এরপর তাকে আমরা গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী টাকাগুলো আমরা উদ্ধার করি। কিছু টাকা সে খরচ করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা