ইসলামের সঠিক মতাদর্শ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন হযরত আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন আলকাদেরী রহ. ৩০তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর)।
সোমবার সকাল থেকে উত্তর বন্দর এলাকার নিজ প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া তৈয়্যাবিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মৌলানা জাকের হোসাইন আনসারী।
হযরত আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন আলকাদেরী রহ. চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উত্তর বন্দর গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার ইচ্ছানুযায়ী তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পর চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করে সর্বশেষ কামিল হাদিস ও ১৯৮৬ সনে ফিকাহ বিভাগে কৃতিত্বের লাভ করেন। এরপরই জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় হযরত তৈয়্যব শাহ্ ছাহেব রহ. ক্বেবলা ফজিলতের দস্তারবন্দী দান করেন। কর্মজীবনে তিনি সুনামের সহিত বিভিন্ন মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। পতেঙ্গা এলাকার মাইজপাড়া গাউছিয়া সুন্নিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে আলোচিত ইসলামিক বক্তা হিসেবেও পরিচিত ছিল বেশ জনপ্রিয়। ১৯৮৩ সনে হযরত তৈয়্যব শাহ্ ছাহেব রহ. কাছে বাইয়েত গ্রহণের পর ইসলামী দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রচারের লক্ষ্যে নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে প্রতিষ্ঠা করেন হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া তৈয়্যাবিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা। সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বের হয়েছেন অনেক আলেমগণ।
নঈম উদ্দিন আলকাদেরী রহ. ১৯৯২ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রায় নয়মাস রোগ শয্যয় ছিলেন। ৩১ অক্টোবর রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী ৩ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান রেখে যান। তাঁরই প্রিয় দ্বীনি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া তৈয়্যাবিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে রয়েছে তাঁর রওজা শরীফ।