স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ড. ইউনূস এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক হয়ে এখন শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর আমতল মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান নিশ্চিত হয়েছে। এতে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ, এদেশের দরিদ্র মানুষ, হাড্ডিসার মানুষদের দেখিয়ে একসময় গ্রামীণ ব্যাংকের নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা আনা হতো। আনার পথে ৮০ শতাংশ টাকা নিজেরাই পকেটে ঢোকাত। বাকি ২০ শতাংশ টাকা দিয়ে সুদের ব্যবসা করতো।’
‘সেই সুদের ব্যবসায়ী আর বিএনপি-জামাাতের আজ গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হলে সুদের ব্যবসা আর চলবে না, তাদের রাজনীতিও চলবে না। তাই এখন শেখ হাসিনার সরকারকে নিয়ে নানা অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র করছে।’
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সন্তান নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, এটা আমাদের গর্ব। কিন্তু এই যে কোভিডের সময় দু’বছর মানুষ এত কষ্ট পেল, সেই ড.ইউনূসকে কিন্তু আমরা দেশের কোথাও খুঁজে পাইনি, মানুষ উনাকে কোথাও দেখেনি। ঢাকায় উনার একটা বিলাসবহুল দালান আছে। সেই দালানে বসে উনি শেখ হাসিনা আর তার সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর অপবাদ দেওয়ায় লিপ্ত ছিলেন।’
ইউনূসের সঙ্গে মির্জা ফখরুল যুক্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেব এখন শুরু করেছেন যে কোনোভাবে শেখ হাসিনার সরকারকে সরানোর ষড়যন্ত্র। উনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সুন্দর করে কথা বলেন, একাত্তর সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। অথচ পরিণত বয়সেও তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি। বিপ্লবের কথা বলে পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন বিএনপি-জামাতে। এখন তিনি তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।’
‘ফখরুল সাহেবরা অনেক আস্ফালন করছেন। রোডমার্চ, মিছিল-সমাবেশ করছেন। কিন্তু বিভিন্নসময় রাস্তাঘাটে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর আমাদের সঙ্গেও দেখা হয়। তারা আমাদের বলেন- রাজনৈতিক কারণে মিছিল-মিটিংয়ে যেতে হয়, কিন্তু শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই এটা আমরা স্বীকার করি।’
সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে এদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে না কি পাকিস্তানী ভাবধারায় চলবে।’
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল হক মিয়া।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ