স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় দুই দশক আগে চট্টগ্রাম নগরীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. হাছান ও আবু বক্কর খান রাজু।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ সারাবাংলাকে জানান, হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় আসামি মো. হাছান ও আবু বক্কর খান রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৩৯৪ ধারায় দুইজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় হাছান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামি রাজুর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা গেছে, কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসি পরিচালনা করতেন। ২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিকশায় করে এসে চার ছিনতাইকারী তাদের উপর হামলা করে।
এসময় কাজলকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। কাজলকে বাঁচাতে দারোয়ান লতিফ ও উজ্জ্বল এগিয়ে গেলে তাদেরকেও হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী।
পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান। এই ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় দেন।
সারাবাংলা/আইসি/এনইউ