স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চারদিনের সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার তিন দিনের সফরে দলটির চট্টগ্রামে আসার কথা রয়েছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন।
রোববার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এ তথ্য জানান। যুক্তরাষ্ট্রের ‘আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
বন্দর চেয়ারম্যান এম শাহজাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৯ সালেও যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসেছিল। সেসময় পরিদর্শনের পর উনারা কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। আমরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেই পর্যবেক্ষণগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করছি। এবার পরিদর্শনে মূলত উনারা সেসবের আপডেট জানবেন এবং সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান সারাবাংলাকে জানান, সোমবার সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছবে। প্রথমে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। সেখানে বন্দরের নিরাপত্তা পরিচালক সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরবেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বন্দরের সিসিটিভি কন্ট্রোল ইউনিট ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যপ্রযুক্তি কার্যক্রম দেখবেন। সেখান থেকে তাদের বন্দরের চার নম্বর জেটিগেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
‘এরপর সফরের সবচেয়ে মূল বিষয় যেটা, বন্দরের এক্সপোর্ট ইয়ার্ড পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উনারা দেখবেন। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং বাংলাদেশী পতাকাবাহী একটি জাহাজ পরিদর্শন করবেন। জাহাজ চলাচলের চ্যানেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও খালি কনটেইনার রাখার ইয়ার্ড এনসিটি ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে উনারা সোমবারের কর্মসূচি শেষ করবেন।’
পরিচালক মোস্তফা আরও জানান, মঙ্গলবার নগরীর পতেঙ্গায় দু’টি বেসরকারি কনটেইনার ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে প্রতিনিধি দল। এগুলো হচ্ছে- সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড ও মেসার্স ইনকনট্রেন্ড লিমিটেড।
বুধবার সকালে সীতাকুণ্ডে একটি লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে বিকেলে বন্দর চেয়ারম্যানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে বসবে প্রতিনিধি দল।
‘সভায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উনাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন। এক্ষেত্রে কোনো করণীয় থাকলে সেটাও সম্ভবত জানাবেন। আমাদের চেয়ারম্যান স্যারও উনার ওপিনিয়ন তুলে ধরবেন। প্রতিনিধি দল যদি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, তাহলে সভা শেষে ব্রিফিংয়ের আয়োজন থাকবে। এর মধ্য দিয়ে উনারা চারদিনের সফর শেষ করে বিদায় নেবেন’- বলেন লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান।
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশে ‘আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় বন্দর ও বন্দরসহায়ক স্থাপনার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম