স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব কেটে যাবার পর চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচল ও পণ্য ওঠানামা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তাজার্তিক বিমানবন্দরেও ফ্লাইট ওঠানামা চলছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার (১৪ মে) রাতে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। আবহাওয়া অধিদফতর রাতেই আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে।
এরপর রাতেই বন্দরের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) ভোরের জোয়ারে বহির্নোঙ্গর থেকে জাহাজগুলোকে জেটিতে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খোলা কার্গো, কনটেইনার হ্যান্ডলিং, লাইটারিং এবং ডেলিভারিসহ সব কার্যক্রম সকাল থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে।’
বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), নিউমুরিং কনটেনার টার্মিনাল (এনসিটি), চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং অন্যান্য জেটিতে ভোর ৪টার দিকে জোয়ার শুরুর পর থেকে জাহাজ নোঙ্গরের কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেলে পণ্য ওঠানামার জন্য কর্ণফুলী নদী থেকে লাইটার জাহাজ যেতে শুরু করে।
সচিব জানান, সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬টি জাহাজ বিভিন্ন জেটিতে আনা হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি কনটেইনার জাহাজ, ছয়টি সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ এবং দু’টি অয়েল ট্যাংকার।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে বন্দরের ইয়ার্ড ও জেটিতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জেটি থেকে জাহাজগুলোকে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাগর উত্তাল থাকায় এর আগেই বহির্নোঙ্গর থেকে সব লাইটার জাহাজকে নিরাপদে কর্ণফুলী নদীতে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে ৪৮ ঘন্টা পর সচল হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সোমবার (১৫ মে) ভোর ৬টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামার অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, অনুমতি দেওয়া পর সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে। এরপর সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের দু’টি ফ্লাইট অবতরণ করে।
এর আগে, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাতের আশঙ্কায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার ভোর ৬টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ