স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানি, এমনকি গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলো পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশন ও সিডিএসহ সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।’
‘চট্টগ্রামে জলবদ্ধতা নিরসনে ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিপুল টাকা খরচ হলেও চট্টগ্রামবাসী এই প্রকল্পের কোনো সুফল পায়নি। বরং জলবদ্ধতা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে এসব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আরো দুর্ভোগ তৈরি করছে। এই অবস্থার জন্য সিডিএ ও সিটি করপোরেশন পরস্পরকে দায়ী করছে।’
বিএনপি নেতারা বলেন, ‘২০১৪ সালে বিএনপি সমর্থিত মেয়র এম মনজুর আলমের চেষ্টায় একনেকে পাশ হয়েছিল বহদ্দারহাট থেকে বলিরহাট পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প। এরপর মেয়র থাকলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তার মেয়াদ শেষে প্রশাসক হলেন খোরশেদ আলম সুজন। বর্তমান মেয়রেরও আড়াই বছর পার হচ্ছে। কিন্তু ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে ৯ বছরে একটি খালের কাজ শেষ করতে পারেননি তারা। সিটি করপোরেশন ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ’
মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির কারণে বন্দরনগরীর বেহাল দশা উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নযন। তাই তারা জনগণের পাশে নেই। তারা দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয় বলেই, জনগণের কল্যাণে এই সরকার কোন কাজ করছে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনো কাজেই সফল হতে পারেননি। চট্টগ্রামে যে একজন মেয়র আছেন, সেটাও দৃশ্যমান নয়। মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তাই নগরবাসীর প্রতি তার কোনো দায়বদ্ধতাও নেই।’
‘জলাবদ্ধতায় যখন মানুষ সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছে, তখন সিডিএ-চসিক পরস্পর দোষারোপ করছে। এটা তাদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা। বাস্তবে তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। তাই ব্যর্থতা স্বীকার করে সিটি মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানের উচিত পদত্যাগ করা।’
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ