Advertise here
রবিবার , ১৬ জানুয়ারি ২০২২ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

ট্যাংকলরির ভেতরে সহকারীর লাশ রেখে পালিয়ে গেল চালক

প্রতিবেদক
bdnewstimes
জানুয়ারি ১৬, ২০২২ ১০:০৮ অপরাহ্ণ


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় তেলবাহী একটি ট্যাংকলরির ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক ট্যাংকলরিটির চালকের সহকারী। দুর্ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। সহকারীর মৃত্যুর পর বিপদে পড়ার আশঙ্কায় চালক লাশ কম্বলে মুড়িয়ে গাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৌরসভার বটতল এলাকায় ‘সীতাকুণ্ড ফিলিং স্টেশনের’ সামনে রাখা ট্যাংকলরি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত নুরুল ইসলাম শাহীনের (২২) বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়। পলাতক লরিচালক মো. বাবুলকে (৫০) আটকের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সারাবাংলাকে জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপককে তথ্য দেওয়া যে, ফিলিং স্টেশনের সামনে পার্কিং করা লরির ভেতরে লাশ আছে। ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে সেই তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ লরির ভেতর থেকে কম্বল পেঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।

‘লাশ উদ্ধারের সময় আমরা মাথায় রক্তাক্ত জখম পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, এটি দুর্ঘটনা। শাহীন লরির পেছনে ছিল। চালক হঠাৎ গাড়ি স্টার্ট দিলে সে পেছন থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়।

চালক বাবুল নিহত শাহীনের স্বজনদের ফোন করে জানিয়েছে, আহত শাহীনকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ সে নিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে শাহীন মারা যায়। এরপর সে লাশ লরির ভেতরে রেখে পালিয়ে যায়।’

‘আসলে দুর্ঘটনার পর বিপদে পড়ার আশঙ্কায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে চালক বাবুল লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে বলে আমাদের ধারণা’— বলেন পুলিশ পরিদর্শক সুমন বণিক।

এদিকে লরিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে মহাসড়কে পার্কিং অবস্থায় ছিল। সেজন্য লাশ উদ্ধারের পর সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ সেটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। হাইওয়ে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে।

জানতে চাইলে স্থানীয় কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরাও প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি আসলেই একটি দুর্ঘটনা। আমরা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর একটি মামলাও দায়ের করছি। তবে যেহেতু চালক পলাতক আছে, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে, তাকে পাওয়া গেলে যদি ভিন্ন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তখন সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/আরডি/একে





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন

Advertise here