সারোয়ার রানা:
দিনের প্রায় প্রতিঘন্টায় দেড় থেকে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ চলাচল দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রবেশদ্বার মইজ্জ্যারটেক এলাকায়। রয়েছে পাঁচ শতাধিক স্থায়ী আবাসিক বসতবাড়ি। রয়েছে খাবারের হোটেল, রেস্তোরাঁ, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল ল্যাব, গাড়ির স্ট্যান্ড। এরি মাঝে মূল সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে গরুর চামড়া মজুদকারী প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যা রাতে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় পঁচা নাড়ী ভুঁড়ি। একই জায়গায় পরিলক্ষিত হয়েছে বেশকটা ড্রিপ ফ্রিজ, যাতে রয়েছে দীর্ঘদিনে মজুদ করা গরু মাংস। এসবের পঁচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় এলাকার জনসাধারণ।
কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেক মোড়ের পশ্চিম পাশে মাত্র ৫০ গজ দূরত্বে খাজা আজমেরী হোটেলের সামনে সাইনবোর্ড বিহীন সাদিয়া চামড়া গুদাম। মূল সড়কের পাশে টিন শেডের ঘরে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পাঁচ ছয়জন শ্রমিক কোন মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভস বা বুট পড়া ছাড়াই দুর্গন্ধযুক্ত পচা নাড়ী ভুঁড়ি নিয়ে কাজ করছে। যেখানে একজন স্বাভাবিক মানুষ নাকি হাত দিয়েও দাঁড়ানো সম্ভব না, সেখানে গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এ শ্রমিকেরা। সামনের খাবারের হোটেলে অপরিচিত কোন কাস্টমার একবার খাবার খেতে এসে ফিরে যায় দুর্গন্ধের কারণে। দুর্গন্ধের বিস্তৃতি মইজ্জ্যারটেক এলাকা পর্যন্ত। কিন্তু সেই গন্ধ টের পায়না স্থানীয় প্রশাসনের কোন কর্মকর্তারা, এমনটি বলছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
মইজ্জ্যারটেক এলাকায় মুরগি ও মাছের খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাক্কানী খাদ্য ফ্যাক্টরি ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় আলমের খাদ্য ফ্যাক্টরির অত্যাচার তো রয়েছেই। এইসব প্রতিষ্ঠানকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করলেও কমছে না জনদুর্ভোগ।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন সজীব জানান, “পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে অবৈধভাবে কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযুষ কুমার চৌধুরী প্রতিনিধিকে জানান, “পূর্বে এসব পরিবেশ বিনষ্টকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালিয়েছি। অনতিবিলম্বে চিহ্নিত এসব প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হবে।”