স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর যেসব গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডিজেলচালিত সেই গাড়িগুলোতে লাল রঙের স্টিকার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভাড়া বাড়েনি যেসব পরিবহনের, সিএনজিচালিত সেই গাড়িগুলোতে সবুজ রঙের স্টিকার লাগানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যৌথভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে নগরীর চারটি স্পটে লাল ও সবুজ রঙের স্টিকার লাগানোর কার্যক্রম শুরু হয়। সিএমপির পক্ষ থেকে যাত্রীদের জানানো হয়েছে, গাড়ির সামনে ‘ডিজেল চালিত মোটরযান’ লেখা লাল স্টিকার এবং ‘সিএনজি চালিত মোটরযান’ লেখা সবুজ স্টিকার লাগানো হচ্ছে। লাল রঙের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে আগের চেয়ে সরকার নির্ধারিত বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। আর সবুজ স্টিকার দেখলে কোনোভাবেই বাড়তি ভাড়া দেওয়া যাবে না।
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হলে গত ৯ নভেম্বর ঢাকায় বিআরটিএর সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিজেলচালিত যানবাহনগুলোতে লাল এবং সিএনজিচালিত যানবাহনকে সবুজ স্টিকার দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। এতে কোন পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে সেটা চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে যাত্রীদের। পর দিন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে বিআরটিএ কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। বিআরটিএর অনুরোধে সাড়া দেয় সিএমপি।
এ সিদ্ধান্তের আওতায় শনিবার সকালে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এন এন নাসির উদ্দিন, ষোলশহর দুই নম্বর গেইটে উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. আলী হোসেন, আগ্রাবাদ বাদামতলীর মোড়ে উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ এবং কাস্টমস মোড়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) ছত্রধর ত্রিপুরার নেতৃত্বে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় বিআরটিএ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এনএন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ার পর সরকারি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র ডিজেলচালিত গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলাচালিত পরিবহন ছাড়া আর কোনো পরিবহন যাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে, সেজন্য বিআরটিএর সিদ্ধান্তে সেগুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। লাল-সবুজ স্টিকার লাগানোর ফলে যাত্রীরা কোনটি ডিজেল আর কোনটি সিএনজি চালিত যানবাহন, সেটা সহজেই শনাক্ত করতে পারবে।’
যানবাহনে কিলোমিটার অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকাও লাগানো হয়েছে বলে জানান উপ-কমিশনার নাসির উদ্দিন।
এদিকে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) তারেক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিজেল ও সিএনজিচালিত পরিবহন আলাদাভাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদি কেউ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া সংগ্রহ করে, তাহলে সিএমপি’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ০১৩২০০৫৭৯৯৮, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন কক্ষ ০১৯১৯৯১১৯১১ ৯৯৯ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম