স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষাবোর্ডে নিবন্ধন করেও চট্টগ্রামে প্রথমদিনে ১ হাজার ৩৫৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মোট পরীক্ষার্থীর হিসেবে অনুপস্থিতির হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও বিষয় কমিয়ে পরীক্ষা নেয়াকে বিবেচনায় রেখে কম প্রস্তুতি নেয়া পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করেও পরীক্ষায় অংশ নেননি।
রোববার (০৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন পাঁচ জেলা ও মহানগরে ১১১টি কেন্দ্রে ৮৬ হাজার ৫২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৮৮৪ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমদিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। এক শতাংশেরও বেশি পরীক্ষার্থী উপস্থিত হননি। আমরা অন্যান্য বোর্ডে খবর নিয়ে দেখেছি, সেখানেও এক শতাংশের মতো পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তবে আমাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে অটোপাসের কথা চিন্তা করে কেউ হয়ত ফরম ফিলআপ করেছিল। কেউ আবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হবে না অথবা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কথা ভেবে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়নি। এজন্য হয়তো তারা ফরম ফিলআপ করেও শেষপর্যন্ত পরীক্ষা দিতে আসেনি।’
শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহানগরসহ চট্টগ্রামে ৬৮ কেন্দ্রে ৬৫ হাজার ২৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৬৪ হাজার ২৪০ জন। অনুপস্থিত ৯৯৩ জন।
কক্সবাজারে ১৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১০ হাজার ২৬১ জন। অনুপস্থিত ১৯০ জন।
রাঙামাটি জেলায় ১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬১৫ জনের মধ্যে অংশ নিয়েছে ৪ হাজার ৫৫৫ জন। অনুপস্থিত ৬০ জন।
খাগড়াছড়ি জেলায় ৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯২৮ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪ হাজার ৮৭০ জন এবং অনুপস্থিত ৫৮ জন।
বান্দরবান জেলায় ৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ হাজার ৬৫৭ জনের মধ্যে অংশ নিয়েছে ২ হাজার ৬০২ জন। অনুপস্থিত ৫৫ জন।
সারাবাংলা/আরডি/ এনইউ
