স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানার কাজির দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, চট্টগ্রাম মহানগরীর এই কর্মিসভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানি প্রধান অতিথি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করছিলেন সংগঠনটির নগর কমিটির সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভা শুরুর প্রায় আধা ঘণ্টা পর কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে পেছনের দিকে কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর মধ্যেই তারা হাতাহাতি শুরু করে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা বারবার শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
একপর্যায়ে সভাস্থলের বাইরে গিয়ে কনভেনশন সেন্টারের সামনে উন্মুক্ত মাঠে এবং আলমাস সিনেমা হলের সামনে সড়কে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় কয়েকজনের হাতে লাঠিসোটা ও লোহার রড দেখা গেছে। তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে দেখা যায়। সেখানে পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। কয়েকজন আহতের পর কর্মীরা নিজেরাই আবার সভাস্থলে ঢুকে যান। আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আলমাস সিনেমা হলের সামনে গিয়ে মারামারি করেছে। ৫-৬ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এরা কারা, কোন ইউনিটের কর্মী আমরা কিছুই জানি না। এটা আমরা তদন্ত করে দেখব। আমাদের কর্মী সম্মেলনে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। আমরা সুন্দরভাবে সম্মেলন শেষ করেছি।’
জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে মারামারি শুরু হয়। পরে তারা রাস্তায় চলে আসে। আমরা দূরে দাঁড়িয়েছিলাম। কোনো অ্যাকশনে যাইনি। পরে তারা নিজেরাই আবার শান্ত হয়ে হলের ভেতরে ঢুকে যায়।’
সারাবাংলা/আরডি/আইই
