রাজিব শর্মা, চট্টগ্রামঃ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ার পর থেকে সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো স্বতস্ফূর্তভাবে চলে আসছিল । কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় , কোন সম্প্রদায়িক শক্তির কোন প্রকার আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ ছাড়াও টুনকো কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত বছর সহ কয়েকবার বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার অবতারণা হয় । চট্টগ্রাম বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি । এখানে যুগ যুগ ধরে মুসলিম , হিন্দু , বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান পাশাপাশি অবস্থান করে আসছে । এটার স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ মুসলিম – হিন্দু – বৌদ্ধ – খ্রিষ্টান সম্প্রীতি পরিষদ গঠন করেছি । সংখ্যালঘুদের সাথে যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংখ্যাগুরুরা জড়িত থাকে তাহলে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা করা অত্যন্ত সহজতর হবে ।
আজ শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটি।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা চাই প্রতিটি মণ্ডপ এলাকায় মুসলিম , বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ভাইয়েরা হিন্দু ভাইদের সাথে আলাপ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন । অনুরূপভাবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাইদের মুসলিম , হিন্দু ও খ্রিষ্টান ভাইগণ বৌদ্ধ ভাইদের কাছাকাছি গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন । যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মিত হয় ।
সকল ধর্মালম্বীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এই সংগঠন বলেন, অনুষ্ঠানাদিতে যাতে নিজস্ব গোত্রীয় দলাদলির বহিঃ প্রকাশ না ঘটে যা থেকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীদাতাগণ কোন সুযোগ নিতে না পারে । সৃষ্টিকর্তা সহায় থাকলে আমরা অতি দ্রুত সময়ে সকল ধর্মাবলম্বী ভাইদের সাথে আলাপ করে ৪ ধর্মাবলম্বীদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ মুসলিম – হিন্দু – বৌদ্ধ – খ্রিষ্টান সম্প্রীতি পরিষদ প্রতিটি এলাকায় সাংগঠনিক আওতায় নিয়ে এসে স্থায়ী সম্প্রীতির পথ সুগম করব ।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতি আহব্বান জানিয়ে এই সংগঠনের বক্তারা বলেন, আসুন আমরা একই ছাতার নিচে আসি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলিম ও অনান্য উপজাতিদের নিয়ে একসাথে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করি।
সংবাদ সম্মেলনে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, লায়ন সিলভাস্টাট বার্নাডেটসহ প্রমুখ।