আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো ও মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলো ক্যানবেরা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার (২৫ মে) এক বিবৃতিতে বলেন, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান অনিরাপদ ও অনিশ্চিত পরিবেশের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার কাবুলে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস বন্ধ করা দেওয়া হবে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিকরা নিয়মিত যাবেন, তবে তারা পাশের অন্য কোনো দেশ থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জারি রাখবেন।
আফগানিস্তান জানিয়েছে, তাদের আশা—অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে জানায়, অস্ট্রেলিয়া শীঘ্রই আফগানিস্তানে স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের উগ্রবাদী সংগঠন তালিবানের সঙ্গে এক চুক্তিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি আফগানিস্তান থেকে ১২ হাজার মার্কিন সৈন্যের আট হাজার ৬০০ সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র।
ওই চুক্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সকল বিদেশী সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হামলার ২০ বছর পূর্তি। এ দিনটিকেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন হিসেবে বেছে নেন জো বাইডেন। আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই ন্যাটোও সৈন্য প্রত্যাহার করবে বলে ঘোষণা দেয়। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওই জঙ্গি হামলার পরপরই আফগানিস্তানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে সেনা পাঠিয়েছিল আমেরিকা ও ন্যাটো।
এবার আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো ও আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই তালিবান দের দেশটির সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে। আফগানিস্তানের নানা স্থানে প্রতিদিন সরকারি বাহিনী ও তালিবানের মধ্যে লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দেশটিতে নারীদের উপর জঙ্গি হামলাও বেড়ে গেছে।
সারাবাংলা/আইই