জয়নাল আবেদীন: নোহা খালেক একজন প্রতিভাবান কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ‘Noha’s Food Fusion’ এর স্বত্বাধিকারি। শৈশবে তার মা সবকিছু নিজ হাতে তৈরি করতেন, যা থেকে নোহার রান্নার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। সৌদি আরবে বড় হওয়ার কারণে, এরাবিক খাবার তার পছন্দের তালিকায় ছিল শীর্ষে। রান্নার প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি টার্কিশ, সোমালিয়ান, ও এরাবিয়ান খাবারের উপর কোর্স করেন এবং তার মায়ের কাছ থেকে বাঙালী ও পাকিস্তানি খাবার শিখেন।
নোহা তার খালার অনুপ্রেরণায় ও ছোট বোনের সহায়তায় প্রথম পেইজ ‘Noha’s Food Fusion’ চালু করেন। এটি অর্গানিকভাবে ৬ হাজার ফলোয়ার অর্জন করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, রিপোর্টের কারণে তার পেইজ ও ৯ বছরের আইডি হারিয়ে যায়।
নোহা তার স্বামীর উৎসাহে নতুন পেইজ ‘Noha’s Food Fusion’ শুরু করেন। মাত্র দেড় বছরে, নোহা এই পেইজটি মনিটাইজড করতে সক্ষম হন এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভাল ফলাফল পান।
নোহার পেইজে তার দৈনন্দিন জীবনযাপন, রান্না, ফটোগ্রাফি, এবং ভিডিও কন্টেন্ট শেয়ার করা হয়। এছাড়া ও নোহার লেখালেখিতে আগ্রহ বেশি এবং সে লিখতে খুব পছন্দ করে।তাঁর মতে লেখার মাধ্যমে বাস্তবতাকে তুলে ধরা যায় সহজেই।মনের তৃপ্তির জন্য, মনের খোরাক যোগানের জন্য লেখাটাকে তিনি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন।তিনি শুধুমাত্র কন্টেন্ট তৈরির জন্য কিছু করেন না; বরং, তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি কন্টেন্টের মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করেন। নোহার উদ্দেশ্য তার স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখা এবং সেগুলোকে সবার সাথে শেয়ার করা।
নোহার পেইজের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি, সম্মান, ভালোবাসা, এবং সীমাহীন প্রশংসা পেয়েছেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন।
নোহার গল্প থেকে বোঝা যায় যে, নিজের আগ্রহ ও ভালবাসা থেকে কিছু শুরু করলে সেটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনি তার রান্নার প্রতি ভালবাসা ও পরিবারের সমর্থনের মাধ্যমে ‘Noha’s Food Fusion’ কে একটি সফল পেইজে পরিণত করেছেন। তার এই যাত্রা অনুপ্রেরণামূলক এবং অনেকের জন্যই একটি উদাহরণ হতে পারে।