[১] রোজিনা ইসলামের মুক্তি চেয়েছেন টরন্টোয় বাংলাদেশি সাংবাদিকরা
সালেহ্ বিপ্লব: [২] কানাডায় বসবাসরত ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, একটি দেশের গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করা।রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিয়ে ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
[৩] টরন্টোর স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তারা এই দাবি জানান। প্রথম আলোর সাবেক বিজনেস এডিটর ও কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর সভা সঞ্চালনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন আমীরুল ইসলাম (প্রথম আলো, বাংলা ভিশন), এস এম বাবু (এটিএন বাংলা), কিশোয়ার লায়লা (বাংলা ভিশন), সঞ্জয় চাকী (চ্যানেল আই), গাজী সালাহউদ্দিন মাহমুদ (সময় টিভি), এম জেড ফেরদৌস (বৈশাখি টেলিভিশন), আসাদুজ্জামান আসাদ (প্রথম আলো) এবং উজ্জল দাস (প্রথম আলো)।
[৪] টরন্টোয় বসবাসরত বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যমের সাবেক সাংবাদিকরা এই প্রথম সম্মিলিতভাবে কোনো আয়োজনে অংশ নেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বর্তমান পরিবেশ এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তারা বলেন, সচিবালয়ের মতো সরকারি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় একজন নাগরিকের শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই একটি দেশ এবং প্রশাসন সম্পর্কে ভালো বার্তা দেয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানারকমের দুর্নীতির ঘটনা এবং দুর্নীতির খবর প্রকাশকারী সাংবাদিককে নিপীড়নের আইনানুগ বিচার না হলে দুর্নীতিকেই উৎসাহ দেয়া হবে।
[৫] বক্তারা দেশের গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নিভু নিভু বাতির একমাত্র সলতে হিসেবে ভুমিকা রাখছিলেন প্রথম আলোর রোজিনা ইসলাম। নিপীড়নের মাধ্যমে তাকে দমিয়ে দেয়া হলে দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই হারিয়ে যাবে। বক্তারা দেশের সাংবাদিকতাকে বাঁচানো এবং ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।