নিজস্ব প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রোববার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার (২৯ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন এবং চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেছেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করছে ই-অরেঞ্জ।
‘ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বললে অফিসের কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান, কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি না করে প্রায় এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, করোনাকালে ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরোনো মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া আসামিরা সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।