#নয়াদিল্লি:
ফেসবুক, টুইটার, ইউ টিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি এখন মানুষের জীবনের অঙ্গ। একটা দিনও এইসব অ্যাপ ছাড়া দিন কাটানো অনেকের পক্ষেই মুশকিল। কয়েক কোটি মানুষ নিয়মিত এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন। এবার হঠাত্ করে যদি দেশে এই সোশ্যাল সাইটগুলি বন্ধ হয়ে যায়! মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল সরকারের ডেডলাইন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বুধবার থেকেই কি তবে রাজ্যে এই সোশ্যাল সাইটগুলি বন্ধ হয়ে যাবে! সোশ্যাল সাইটগুলির অপব্যবহার হচ্ছে। আর সেইসব অপপ্রয়োগে রাশ টানতে কেন্দ্র একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল। সোশ্যাল সাইটগুলিকে সেই সব নির্দেশ মেনে কাজ করার জন্য তিন মাস সময় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তিন মাস সময়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, মঙ্গলবার। তা হলে নিয়মমাফিক আগামীকাল থেকে সারা দেশে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল সাইটগুলির ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার কথা।একমাত্র ভারতীয় অ্যাপ কু ছাড়া কোনও সোশ্যাল সাইট কেন্দ্রের জারি করা নিয়ম মানেনি। এই মর্মে কোনও উত্তরও তারা কেন্দ্রকে দেয়নি। ফলে এবার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সাইটগুলির বিরুদ্ধে কড়া হতে পারে কেন্দ্র। ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল সাইটগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। সেদিনই কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সোশ্যাল সাইটগুলিকে তিন মাসের মধ্যে নির্দেশিকা মানতে হবে। যে সব নিয়মের কথা বলা হয়েছে সেগুলি তিন মাসের মধ্যে বলবত্ করতে হবে। কিন্তু কু অ্যাপ ছাড়া বাকি কোনও সোশ্যাল সাইট কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকা মানেনি। একের পর এক আপত্তিজনক পোস্ট হচ্ছে সোশ্যাল সাইটগুলিতে। সেই সব আপত্তিজনক পোস্ট বন্ধ করতেই কেন্দ্র তত্পর হয়েছিল। আপত্তিজনক পোস্টের জন্য পোস্টদাতা ও সংশ্লিষ্ট সাইট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট-এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। আপত্তিজনক কনটেন্ট রোধ করতে উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে প্রতিটি সোশ্যাল সাইটকে। না হলে ভারতে সেই সব সাইটের ব্য়বহার বন্ধ করা হতে পারে। সোশ্যাল সাইটের সঙ্গে OTT প্ল্যাটফর্মগুলির ক্ষেত্রেও একাধিক নির্দেশ জারি করেছিল কেন্দ্র। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, প্রতিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মুখ্য আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। আর সেই আধিকারিক ভারতের নাগরিক হতে হবে। এছাড়া থাকতে হবে একজন প্রধান, যিনি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখবেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষকেও প্রতি মাসে জমা হওয়া অভিযোগ ও তার ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেফ সম্পর্কে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। ‘ইউনিভার্সাল (ইউ)’, ‘ইউ/এ ৭+’, ‘ইউ/এ ১৩+’, ‘ইউ/এ ১৬+’, ‘প্রাপ্তবয়স্ক’- এই পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করতে হবে কনটেন্ট। শেষ তিনটি ভাগের জন্য রাখতে হবে পেরেন্টাল লক। এতগুলি নির্দেশিকার কোনওটাই এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি সোশ্যাল অ্যাপ-এর কর্তৃপক্ষ। ফলে এই ব্য়াপারে জটিলতা আরও বাড়তে পারে এবার।