Telegram: বেশ কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয় Telegram। কিন্তু WhatsApp-এর প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর এই অ্যাপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। একাধিক মানুষ WhatsApp ছেড়ে এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তথ্য সুরক্ষার পাশাপাশি একাধিক নতুন ফিচার এনেছে সংস্থা। এবার সেই মুকুটেই জুড়ল আরেক পালক। চালু হল ভয়েস চ্যাট ২.O। যাতে যে কেউ ভয়েস চ্যাটের সুবিধা পাবে। এক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা থাকবে না।
এর আগে এই ধরনের চ্যাটের সুবিধা ক্লাব হাউজে পাওয়া গিয়েছিল। Telegram-এর নতুন এই ফিচারে যে কেউ ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারবে। যে কাউকে পাঠাতে পারবে। এতে কোনও সীমাবদ্ধতা থাকবে না। এই ভয়েস চ্যাট ২.O ফিচারের সঙ্গেই আরও কয়েকটি সুবিধে দিচ্ছে এই অ্যাপ।
প্রথমত, কোনও পাবলিক গ্রুপের অ্যাডমিন অনায়াসেই অডিও বেসড চ্যাট শুরু করতে পারেন। কতজনের মধ্যে সেই চ্যাট পৌঁছাতে পারে, তার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। অর্থাৎ গ্রুপে যত সদস্যই থাক না কেন, প্রত্যেকেই সেই ভয়েস চ্যাট শুনতে পাবে।
এখানেই শেষ নয়, এই ভয়েস চ্যাটের যে ভয়েস রেকর্ডটি পাঠানো হবে, তা রেকর্ড করা যাবে। যাতে কেউ সেই মেসেজ না শুনতে পেলে বা সেই সময়ে উপস্থিত না থাকলেও সেই মেসেজ পেতে পারে। এক্ষেত্রে সেভড মেসেজের অপশন পাওয়া যাবে। সেভ করলেই তা থেকে যাবে।
এছাড়াও ক্লাবহাউজের মতো রেইজ হ্যান্ড বা হাত তোলার অপশনও রাখা হচ্ছে। যাতে অডিও সংলাপ চলাকালীন কোনও প্রশ্ন থাকলে তা জিজ্ঞাসা করা যায়। এবং যিনি কথা বলছেন, তিনি সহজে ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারেন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হওয়ায় এই ভিডিও বা অডিও মিটিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে এবং এটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পরিস্থিতিতে মিটিং লিঙ্ক-সহ একাধিক জিনিসের সঙ্গে মানুষের নতুন করে পরিচয় হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই Telegram-ও যিনি কথা বলছেন এবং যাদের উদ্দেশে বলছেন, তাদের জন্য আলাদা আলাদা লিঙ্ক তৈরি করার ব্যবস্থা করেছে। এই লিঙ্কগুলি অন্যান্য গ্রুপের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে।
এই নতুন ফিচারগুলি ছাড়াও Telegram সম্প্রতি ক্যানসেল ফওয়ার্ডিং মেসেজের অপশন এনেছে। যাতে কোনও ফরওয়ার্ড করা মেসেজ সহজেই ক্যানসেল করা যায়।