শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর ২০২১ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

শাস্তি পেতেই হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রতিবেদক
bdnewstimes
নভেম্বর ১৯, ২০২১ ১১:৪০ অপরাহ্ণ


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদ্রোহীদের যারা মদদ দিয়েছে, তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে। এমন কী জনপ্রতিনিধি হলে, মন্ত্রী হোক, এমপি হোক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার বিকেল চারটায় বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় রাত ৯টা অবধি অনুষ্ঠিত হয়। মাঝখানে কিছু সময় বিরতি প্রদান করা হয়। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়, সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পরে সাংবাদিকদের সামনে জাতীয় সংসদ ভবনের গেটে তা তুলে ধরেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার কারণ দর্শাও নোটিশের জবাবে আমাদের পার্টির সভাপতি বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থনে তার বক্তব্য পেশ করেছে। সেটি আমি পড়ে শুনিয়েছি। গোটা হাউজ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মতামত দিয়েছে এবং আমাদের সভাপতি সবার মতামত নিয়ে সবাই একবাক্যে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলমকে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তো বটেই এ ছাড়া তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিক সদস্য থেকে বহিষ্কার হলে সেক্ষেত্রে স্থায়ী/অস্থায়ীর প্রশ্ন থাকে না। বহিষ্কার তো বহিষ্কারই।’

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি জানানো হবে।’

বক্তব্য সুপার এডিটেড দাবি করেছিলেন, যাচাই-বাছাই করেছেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিটিং তো অনেক দিন পরে হয়েছে কাজেই আমাদের পার্টি, আমাদের পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এই বিষয়টি ভালোভাবেই খোঁজ-খবর নিয়েই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাচাই-বাছাই করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

গাজীপুরের পুরো কমিটি থাকবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজনের জন্য কী পুরো কমিটি ভেঙে যায় না কী?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক সম্পাদকরা, আমাদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা নির্বাচন সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সে রিপোর্টের তারা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী ছিল এবং বিদ্রোহীদের যারা মদদদাতা ছিল তাদের সম্পর্কেও রিপোর্ট দিয়েছে। লিখিত রিপোর্ট এবং তারা নিজেরা মৌখিকভাবেও যার যার এলাকায় কতটা আসন পেল, কতজন বিদ্রোহী হলো, কারা কারা মদদ দিলো এ রকম অনেক নাম এসেছে। কাজেই এইগুলো কাগজপত্র গুলো দেখে যেটা সিদ্ধান্ত সেটা হচ্ছে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত আগে ছিল সেটা তো থাকবেই।’

সভাপতিমণ্ডলীর নতুন সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সভানেত্রীর নির্দেশে চিঠি না দেওয়া পর্যন্ত আমি কাউকে নতুন সদস্য বলতে পারব না। প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও জেনারেল সেক্রেটারির চিঠি যাবে সভানেত্রীর নির্দেশে। সেটা যাওয়ার আগে আমি বলছি না।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতীকবিহীন হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হয়ত কোনো বিশেষ বিশেষ এলাকা হতে পারে বিশেষ কারণে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ওপেন করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। এর মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার উপাদান যুক্ত হয়েছে সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ করে মন্ত্রীকে বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন এ ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’

সারাবাংলা/এনআর/একে





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা